ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর টেলিভিশনে একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (২২ জুন) রাতে প্রচারিত ওই ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ইরানের ৩টি প্রধান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। এখন আর কোনো বিপদ নেই, এখন শান্তির সময়।
ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এই হামলা ছিল একটি বিস্ময়কর সামরিক সাফল্য। এটা যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ সামরিক সক্ষমতার প্রমাণ।’
মাত্র তিন মিনিটের ওই ভাষণে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, ইরানের সামনে এখন দুটি পথ—শান্তি কিংবা ধ্বংস। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট লিস্টে আরও অনেক সামরিক ও কৌশলগত স্থাপনা রয়েছে, যেগুলো ‘দ্রুত, নিখুঁত ও দক্ষভাবে’ ধ্বংস করা হবে যদি ইরান দ্রুত শান্তির পথে না আসে।
এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তার আগেই তিনি এই সামরিক পদক্ষেপ নেন, যা অনেকের মতে যুদ্ধ বিস্তারের ইঙ্গিত বহন করে।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং জানিয়েছে, এই হামলাগুলোই আপাতত শেষ, এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরকার পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা করছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি যদি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে, পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে ইরান ও পশ্চিমা বিশ্বের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আরও জটিল রূপ নিতে পারে।
মন্তব্য করুন