ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান ‘ঐশ্বরিক বিজয়’ অর্জন করেছে বলে দাবি করেছে লেবাননের প্রভাবশালী সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
বুধবার (২৫ জুন) এক বিবৃতিতে ইরানকে এই ‘গৌরবময় ও ঐতিহাসিক বিজয়’-এর জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর মেহের নিউজ এজেন্সির।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিজয় প্রকাশ পেয়েছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিচালিত সুনির্দিষ্ট ও ব্যথাতুর হামলায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিপরীতে ইরানের দ্রুত ও দৃপ্ত প্রতিক্রিয়ায়।
সংগঠনটি আরও বলেছে, এটি কেবল একটি সামরিক সাফল্য নয়, বরং আমেরিকান আধিপত্য ও ইহুদি দম্ভের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের এক নতুন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৩ জুন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটির সরকার দাবি করে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই অভিযান চালানো হয়েছে। তবে হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা আঘাত হানে, যা পরবর্তী ১২ দিন জুড়ে রূপ নেয় এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতে।
এই সংঘর্ষের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলের সঙ্গে সমন্বয় করে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। জবাবে ইরান কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংঘাতে দেশটিতে অন্তত ৬১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি। অন্যদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের হামলায় তাদের অন্তত ২৮ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সবশেষে, উভয় পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর মঙ্গলবার (২৪ জুন) কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। যদিও সাময়িক শান্তি ফিরেছে, বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন- এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সূচনা হতে পারে।
মন্তব্য করুন