ইসরায়েলি এক গুপ্ত হামলায় ইরানি পারমাণুবিজ্ঞানী সেদিগি সাবের নিহত হন। একই হামলায় তার পরিবারের আরও ১১ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন নারী, শিশু ও বয়স্ক সদস্যও। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সোমবার (২২ জুন) রাতে ইরানের উত্তরাঞ্চলের আস্তানে আশরাফিয়েহ শহরে এ হামলা হয়। এটি কাস্পিয়ান সাগরের কাছাকাছি অবস্থিত। ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে এ হামলা হয়।
প্রকাশিত পারিবারিক ছবিতে দেখা যায়, একটি ঘরে থাকা সাবের পরিবারের সবাই ওই হামলায় নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নগ্ন উদাহরণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১২ দিনে ইসরায়েল অন্তত ১৪ জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল। তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই ঘটনাগুলোকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ এবং ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই হত্যাকাণ্ড ইরানজুড়ে গভীর শোক ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির রাজনীতিক, ধর্মীয় নেতা ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, এটি ইরানের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ।
ইরানের এক শীর্ষস্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিজ্ঞানীদের হত্যা করা মানে জাতির ভবিষ্যৎ ও আত্মনির্ভরতা নষ্ট করার চেষ্টা। এটি কোনো সামরিক সংঘর্ষ নয়, এটি আমাদের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ।’
তেহরান এরই মধ্যে এ ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই হামলা যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে প্রমাণিত হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মন্তব্য করুন