ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘জায়োনিস্ট শাসকগোষ্ঠী ও নেতানিয়াহুর পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।’ তিনি আরও বলেন, শত্রুদের আরেকটি ভুল গোটা অঞ্চলে তাদের স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলোকে চরম বিপদের মুখে ফেলবে।
তেহরানভিত্তিক আধাসরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, সোমবার তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লে. জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরির স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাফাভি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বড় শয়তান যুক্তরাষ্ট্র এবং ছোট শয়তান ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে তাদের কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি।’ বরং এই হামলার মাধ্যমে ‘জায়োনিস্টদের মৃত্যুর চক্র’ আরও ত্বরান্বিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সাফাভি জানান, শত্রুর অনুরোধেই সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, কিন্তু ইরান এখন শত্রুদের স্বার্থ, ঘাঁটি ও বাহিনী সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য রাখে। তিনি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শক্তি শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এর বাইরেও বিস্তৃত। আমাদের টার্গেট ডাটাব্যাঙ্কে শত্রুর সব ঘাঁটি ও স্বার্থ চিহ্নিত আছে এবং হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, যদি শত্রুরা আবার কোনো ভুল করে বা হিসাব মিলাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইরান আরও ভয়াবহভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইসরায়েল কোনো উসকানি ছাড়াই ইরানের পরমাণু, সামরিক এবং আবাসিক স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে ৯৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ বেসামরিক নাগরিক।
এরপর ইরান ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ নামে পাল্টা হামলা শুরু করে। ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ বিভাগ ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চলে ২২ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার ফলে বহু শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
অবশেষে ২৪ জুন কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সংঘর্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
মন্তব্য করুন