কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ট্রাম্প-নেতানিয়াহুকে কিনতে পারেন বহুবার, খামেনির সম্পদ কত?

খামেনি, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
খামেনি, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

গোটা মুসলিম উম্মাহ যখন নির্যাতনের ছায়ায় নতজানু, তখন ইরানের মিম্বার থেকে উচ্চারিত আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কণ্ঠে শোনা যায় প্রতিরোধের ধ্বনি। যেখানে আরব শাসকরা নীরব চুক্তিতে গাজার মুসলিমদের রক্ত বিক্রি করছে, সেখানে খামেনির ভাষণে দেখা মেলে কালো মেঘের ফাঁকে এক চিলতে আশার আলো।

পশ্চিমা নেতাদের চক্ষুশূল হয়েও ১৯৮৯ সাল থেকে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পদে রয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই স্বল্প ব্যয়, সরল ও ধর্মনিষ্ঠ জীবন যাপন করলেও ধন-সম্পত্তি নিছক কম নেই তার। যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বহুবার কিনতে পারেন এই নেতা। তাহলে ভাবুন কত সম্পদ রয়েছে তার হাতে।

ব্যক্তিগত জীবনে নেই কোনো রাজকীয়তা, কিংবা অর্থের জৌলুস। আছে কেবল দায়িত্ববোধ, তাকওয়া ও আল্লাহর কাছে সমর্পণ। এমন সাদামাটা খামেনির জীবন হলেও, বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। আল্লাহর দেওয়া অঢেল সম্পদের মালিক তিনি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের শীর্ষ ধনী নেতাদেরও একজন তিনি। যার আঁচ পাওয়া যায় বিভিন্ন পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে।

২০১৩ সালে রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবদনে বলা হয়, খামেনির প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। তবে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তাদের মতে, তা বেড়ে ২০০ বিলিয়নের কাছাকাছি হতে পারে। তবে এ বিষয়ে পাকাপোক্ত তথ্য পাওয়া না গেলেও সেলিব্রেটি নেট ওয়ার্থ বলছে, খামেনির নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রয়েছে।

ইরানি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে বাজেয়াপ্ত হওয়া অগণিত সম্পদকে রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং তা ইসলামের কাজে ব্যবহারের জন্য সেতাদ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। যার নিয়ন্ত্রণ করেন আলি খামেনি। মূলত এ প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক পরিমাণ বর্তমানে ৯৫ থেকে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত। পশ্চিমাদের দাবি, খামেনি সরাসরি এসব সম্পদের মালিক না হলেও যেগুলোর ওপর তার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। বলা হয় সেদাতের উপার্জন সরকারি বাজেটের বাইরে। এর ওপর সংসদ বা রাষ্ট্রপতির কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। রাজনৈতিক বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এবং ক্ষমতা কায়েম রাখতে এই সম্পদ ব্যবহার করা হয়।

পশ্চিমাদের তথ্যের সঙ্গে বাস্তবের এই সুপ্রিম লিডারের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হয়েও খামেনির জীবনচর্চা এক সাধারণ আলেমের মতো—নম্রতা, সাদামাটা পোশাকেই দেখা যায় এই নেতাকে। নিজের জন্য দেশ-বিদেশে নেই কোনো বিলাসী প্রাসাদ কিংবা ব্যক্তিগত বিমান। বিশ্বের বহু নেতা ভোগবিলাসে গা ভাসালেও তিনি আজও ইসলামের জন্য আত্মত্যাগে প্রস্তুত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাবার বাড়িতে এসে নিজেকে শেষ করলেন গৃহবধূ

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনকারী ৩ শিক্ষার্থী অসুস্থ

বগুড়ায় উদ্ধার করা ৬ গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করেছে সেনাবাহিনী

৩৫ বছরের নারীকে বিয়ের দাবিতে ৭৫ বছরের বৃদ্ধের অনশন

জাবিতে ছাত্রদলের নেতাদের উদ্দেশ্যে ‘গেট আউট’ স্লোগান

রাষ্ট্রপতির ছবি‌ সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মৌখিকভাবে

রাষ্ট্রপতির ছবি‌ সরানো প্রসঙ্গে উপপ্রেস সচিবের ব্যাখ্যা

আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে নেপাল গেলেন আমির খসরু

গোলকিপারের ভুলে ইউনাইটেডকে হারাল আর্সেনাল

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় : টুকু

১০

দেশে প্রথম মঞ্চায়িত হচ্ছে গ্রিক নাটক ‘তর্পন বাহকেরা’

১১

দুই ঘণ্টার হাটে বিক্রি হয় কোটি টাকার পান

১২

‘অসাধু জেলেদের কারণে ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য’

১৩

সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত অফিসারদের আবেদন পর্যালোচনায় নতুন উদ্যোগ

১৪

সংসদীয় সীমানা নিয়ে ৮৩ আসন থেকে ১৭৬০ আপত্তির আবেদন

১৫

গণতন্ত্র নস্যাৎকারীরা আবারো সক্রিয় হচ্ছে : লায়ন ফারুক

১৬

খালেদা জিয়ার জন্য সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল

১৭

আ.লীগ নেতা লিটনের ভাইসহ তিনজন ৫ দিনের রিমান্ডে 

১৮

ডাকসুতে শিবিরের ভিপি-জিএস প্রার্থী হচ্ছেন যারা

১৯

৩ দাবিতে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের মানববন্ধন

২০
X