টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয়ে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি ও তার পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে তিনি এ অভিযোগ আনেন।
ওই পোস্টে রিপন মিয়া লিখেছেন, আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমি ২০১৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই স্থানে আসতে পেরেছি। এই সময়ে আমার দ্বারা কারও ক্ষতি করার কোনো রেকর্ড নেই। এমনকি যেকোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটর আমাকে ডাকলে আমি সব সময় সাড়া দিয়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বাড়তে থাকে, তখন আমার পেজ হ্যাকের চেষ্টা থেকে শুরু করে টিভিতে ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। আজ সোমবার ঢাকা থেকে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তারা কারও অনুমতি না নিয়ে আমার পরিবারকে ভিডিও করতে থাকেন এবং দূরে ক্যামেরা রেখে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করেন। এমনকি পরিবারের মহিলা সদস্য ঘরে থাকা সত্ত্বেও তারা অনুমতি না নিয়ে ঘরে ঢুকে যান।
তিনি আরও লিখেছেন, আমি সবসময় বলে এসেছি যে, আমার শিক্ষা নেই, পড়াশোনা করতে পারিনি। স্বাভাবিকভাবে আমার পরিবারের কোনো সদস্যই শিক্ষিত নন এবং কখনোই তারা মিডিয়ার মুখোমুখি হননি। আমি কোনো সময় আমার পরিবারকে ফেসবুকে দেখিয়ে টাকা আয় করতে চাইনি। টিভি চ্যানেলের নাম চাইলেই আমি প্রকাশ করতে পারতাম। তবে কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্য কখনোই আমার ছিল না। এই ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, তারা নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন। এভাবে টাকা আয় করে নিজের পরিবার ও সন্তানদের খাওয়াতে যদি আপনাদের বিবেক না জাগে, তাহলে আমারও আর কিছুই বলার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া রাখবেন।
এ বিষয়ে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত অবগত নই। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
রিপন মিয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি। নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে তার বাড়ি। ২০১৬ সালে ফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে যাত্রা করেন তিনি। ভিডিওতে তার ‘হাই আই এম রিপন ভিডিও’, ‘আই লাভ ইউ, এটাই বাস্তব’ সংলাপগুলো ভাইরাল হয়।
মন্তব্য করুন