মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রামাল্লায় পৌঁছেছে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাস

রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বাস। ছবি : সংগৃহীত
রামাল্লায় ফিলিস্তিনিদের বহনকারী বাস। ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। এরপর কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের রামাল্লায় পৌঁছেছে বন্দিদের বহনকারী বাস।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো রামাল্লায় পৌঁছেছে। এটি অধিকৃত পশ্চিম তীরের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। সেখানে তাদের স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছেন আত্মীয়স্বজনরা।

বিবিসি জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় প্রায় এক হাজার ৭০০ গাজাবাসী এবং ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। আজ তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।

এর আগে আলজাজিরা জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর আজ শুরু হতে যাচ্ছে বন্দিবিনিময় প্রক্রিয়া। চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় আটক ২০ ইসরায়েলি নাগরিকের বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা সিটিতে ফিরতে শুরু করেছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। তবে এখনো তীব্র খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তার সংকট রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।

গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৭ হাজার ৮০৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং প্রায় ২০০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বন্দিবিনিময় ও যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যদিও পরিস্থিতি এখনো নাজুক এবং পুনর্গঠনের পথ দীর্ঘ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবশেষে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সই

জয়পুরহাট জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কের পদত্যাগ

শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

‘ড. তোফায়েলের শূন্যতা বহু দশক অনুভূত হবে’

আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকার মরদেহ উদ্ধার

স্থানীয় সমস্যা সমাধানের আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

পূজা পরিষদ ও মহানগর কমিটির প্রত্যাশা / সংকট সমাধানে এক হয়ে কাজ করার নজির অব্যাহত থাকুক

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে : পিএনপি

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় প্রোটিয়াদের কাছে বাংলাদেশের হার

নিষিদ্ধ হওয়া ভিডিও নির্মাতাদের সুখবর দিল ইউটিউব

১০

জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে জামায়াতের অংশগ্রহণ

১১

‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’ 

১২

রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি

১৩

ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত

১৪

৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম

১৫

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৬

ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!

১৭

অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি

১৮

‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ

১৯

জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী

২০
X