ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিদিন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেসব হামলার লক্ষ্যবস্তু সাধারণ মানুষ। শনিবারও এমন এক হামলা করে দখলদার বাহিনী। কিন্তু সেই হামলায় নিজেদের অজান্তেই বড় সফলতা পেল তারা।
রোববার (৩১ আগস্ট) ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, একদিন আগে উত্তর গাজা উপত্যকার গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্র হুদাইফা সামির আবদুল্লাহ আল-কাহলৌত ওরফে আবু ওবাইদা নিহত হয়েছেন। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং শিন বেট প্রথমে কেবল বলেছিল, শনিবারের হামলায় হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মী নিহত হয়েছেন। তবুও যত রিপোর্ট আসতে থাকে ততই আনন্দে মাতে ইসরায়েলিরা। কারণ, তত্ত্ব-উপাত্ত্ব বলছে, নিহত ব্যক্তি গোষ্ঠীর মুখপাত্র ছিলেন। রোববার সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওবাইদাকে শনাক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রথমে হামলার ফলাফল স্পষ্ট ছিল না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্র আবু ওবাইদার মৃত্যু সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ রোববার নিশ্চিত করেন, হামলাটি সফল হয়েছে।
এক্স-তে একটি পোস্টে কাটজ লিখেছেন, দীর্ঘদিনের মুখপাত্রকে ইরান, গাজা, লেবানন ও ইয়েমেন থেকে নির্মূল হওয়া সমস্ত অশুভ অক্ষের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য নরকের তলদেশে পাঠানো হয়েছে। শিগগির গাজায় অভিযান তীব্রতর হবে। হামাসের খুনি এবং ধর্ষকদেরও একই পরিণতি হবে।
কাটজের মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরেই আইডিএফ একটি বিবৃতি জারি করে নিশ্চিত করে, আবু ওবাইদা নিহত হয়েছেন। সাউদার্ন কমান্ডের সহযোগিতায় শিন বেটের অপারেশন ওয়ার রুম থেকে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। শিন বেট এবং মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের সংগৃহীত পূর্বের গোয়েন্দা তথ্যের কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত দশক ধরে আবু ওবাইদা হামাসের সামরিক শাখার প্রচারণা যন্ত্রের জন্য দায়ী ছিলেন। এই ভূমিকায় তিনি ব্রিগেড এবং ব্যাটালিয়নজুড়ে মুখপাত্র অভিযান তদারকি করেছিলেন। রাজনৈতিক মিডিয়া উপাদান এবং সামরিক শাখার মধ্যে সমন্বয় করতেন তিনি। এ ছাড়া হামাসের প্রচারণা নীতি নির্ধারণকারী জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন ওবাইদা।
মন্তব্য করুন