জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংকট নিয়ে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংসের পথে যাবে।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সতর্ক করে বলেন, আগেও বহুবার ব্যর্থ হতে হয়েছে; কিন্তু এবার যদি রাজনৈতিক সমাধানের কোনো দিগন্ত না খোলা হয়, তাহলে আবারও সংঘাত শুরু হবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে জর্ডানের রাজা বলেন, তার কথায় কোনো বিশ্বাস নেই। তবে ইসরায়েলে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের সঙ্গে আরব দেশগুলো কাজ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, গাজা চুক্তির বিস্তারিত অংশেই লুকিয়ে আছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে সম্পৃক্ত থাকতে হবে।
গত ১০০ বছর ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে গাজাবাসী। এর জন্য প্রাণ হারিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বনেতারা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে বেশ তৎপর হয়ে ওঠে। এই তৎপরতায় গতি পায় গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের পর। ওই অধিবেশনে বিশ্বের বেশকিছু শক্তিধর দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পাশাপাশি আবর ও মুসলিশ বিশ্বের নেতারাও গাজায় শান্তি ফেরাতে বেশ তৎপরতা শুরু করেন।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা প্রস্তাব ঘোষণা পর মধ্যপ্রাচ্যে দ্রুতই পটপরিবর্তন হয়। মার্কিন চাপে পড়ে ওই প্রস্তাবে সম্মতি জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। পরে আরব বিশ্বের প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাব বাস্তবায়নে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন গোষ্ঠীদের নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়। গত ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বড় কোনো সংঘাত ছাড়াই বন্দিবিনিময় কার্যকর করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন