কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৬ এএম
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৫ এএম
অনলাইন সংস্করণ

মারা গেলেন ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা ডিক চেনি

ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা ডিক চেনি। ছবি: সংগৃহীত
ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা ডিক চেনি। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইরাক ধ্বংসের অন্যতম হোতা ডিক চেনি মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ভোরে স্থানীয় সময় নিউমোনিয়া ও হৃদরোগজনিত জটিলতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর এপির।

২০০৩ সালে ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতের লক্ষ্যে চালানো যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো আগ্রাসনের অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী বা ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন চেনি। তার নেতৃত্ব ও পরামর্শেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিতে বড় পরিবর্তন আসে।

ডিক চেনির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বড় যুদ্ধেই। ১৯৯০ সালে শুরু হওয়া উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ওই যুদ্ধের সামরিক পরিকল্পনা ও আন্তর্জাতিক জোট সমন্বয়ের দায়িত্ব ছিল তার ওপর।

এক দশক পর, ২০০০ সালে বুশ সিনিয়রের ছেলে জর্জ ওয়াকার বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ডিক চেনি হন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত দু’দফা এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জর্জ বুশ জুনিয়রের সরকারে সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন চেনি। অনেকে মনে করতেন, প্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তার পরামর্শেই নেওয়া হতো।

২০০৩ সালে ইরাকের বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করছে’ এই অভিযোগ তুলে যুদ্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। চেনিই ছিলেন সেই অভিযানের মূল নীতিনির্ধারক। তবে পরে প্রমাণিত হয়, ইরাকে এমন কোনো অস্ত্রের অস্তিত্বই ছিল না। সে যুদ্ধেই সাদ্দাম হোসেনের পতন ঘটে এবং ২০০৬ সালে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

ইরাকে ‘গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার’ স্বপ্ন দেখেছিলেন চেনি; কিন্তু বাস্তবে মার্কিন আগ্রাসনের পর দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বেড়ে যায়। সেই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে আলকায়দা ও পরে আইএসের মতো উগ্র জঙ্গিগোষ্ঠী। যুদ্ধ-পরবর্তী দুই দশকেও ইরাকে স্থিতি ফেরেনি।

চেনির মৃত্যুর পর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডিক ছিলেন ভদ্র, সম্মানিত ও নিবেদিতপ্রাণ জনসেবক। তিনি আমাদের সময়ের অন্যতম বুদ্ধিমান এবং দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়, মূলহোতা কারাগারে

দুই বছরে যুদ্ধে ইসরায়েলের বিপুল ব্যয়

শিগগির চট্টগ্রাম নগরীতে শতভাগ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে : চসিক মেয়র

নভেম্বরের শুরুতেই ইরাকে ১১৪ ভূমিকম্প, টের পায়নি অনেকেই

সেই বাড়িতে মিলল আরও ৩৯ ককটেল

সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ

টিএসএম পদে নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ালটন

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

দুপুরের মধ্যে ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির আভাস

সফল ব্যক্তিরা সকালের নাশতার আগেই যেসব কাজ করেন

১০

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১১

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল সাদিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ

১২

যুক্তরাষ্ট্রে প্লেন বিধ্বস্তের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

১৩

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৪

৫ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৫

নিয়োগ দিচ্ছে মীনা বাজার

১৬

গাজীপুরে জবাইয়ের ‘কারখানায়’ অভিযান, জীবিত-মৃত ৪৫ ঘোড়া জব্দ

১৭

বিএনপির প্রার্থীকে অভিনন্দন জানানো চরমোনাইয়ের প্রার্থীর পোস্ট ভাইরাল

১৮

রাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, মেলেনি ফান্ডের হিসাব

১৯

মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য শুরু হলো এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম

২০
X