

জাপানের আকাশে মার্কিন বোমারু বিমান মহড়া চালিয়েছে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) জাপান সাগরের ওপর আকাশসীমায় মার্কিন পারমাণবিক ক্ষমতাধর বোমারু বিমান মহড়া চালিয়েছে। চীন ও রাশিয়ার সাম্প্রতিক যৌথ মহড়ার জবাবে এ মহড়া দিয়েছে তারা।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র বলপ্রয়োগের মাধ্যমে একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিরোধে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা বাহিনী (এসডিএফ) ও মার্কিন বাহিনী প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।
দুইটি মার্কিন বি-৫২ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান, তিনটি জাপানি এফ-৩৫ স্টেলথ ফাইটার এবং তিনটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান যৌথভাবে মহড়া দিয়েছে। চীন গত সপ্তাহে অঞ্চলটিতে সামরিক মহড়া শুরু করার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক সামরিক উপস্থিতি প্রদর্শন করল।
এর আগে মঙ্গলবার পূর্ব চীন সাগর ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীন ও রাশিয়ার যৌথ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান মহড়া দেয়। একই দিনে চীনের আলাদা বিমানবাহী রণতরি মহড়া পরিচালনার ঘটনায় জাপান যুদ্ধবিমান উড়ায়। টোকিও জানিয়েছে, এসব জাপানি যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্য করে রাডার লক করা হয়েছিল।
বিমানবাহী রণতরি সংক্রান্ত এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র কড়া সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে সহায়ক নয়। যুক্তরাষ্ট্র–জাপান জোট অটল থাকবে।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশেই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এর মধ্যে জাপান বিশ্বে মার্কিন সামরিক শক্তির বৃহত্তম বিদেশি ঘাঁটির আবাসস্থল। যেখানে রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরি স্ট্রাইক গ্রুপ এবং একটি মার্কিন মেরিন এক্সপেডিশনারি ফোর্স রয়েছে।
জাপানের জয়েন্ট স্টাফ চিফ জেনারেল হিরোয়াকি উচিকুরা বলেন, চীন ও রাশিয়ার যৌথ বোমারু বিমান টহল স্পষ্টতই জাপানকে লক্ষ্য করে শক্তি প্রদর্শন। জাপানের নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তবে চীন জাপানের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, জাপানি যুদ্ধবিমান তার বিমানবাহী রণতরির দক্ষিণে বিমান চলাচলকে বিপদের মুখে ফেলেছিল।
মন্তব্য করুন