গাজায় মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আলজাজিরা জানায়, গাজার হাসপাতালগুলোতে প্রতি মিনিটে একজন আহত রোগী আসছেন।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় জানিয়েছে, গাজার হাসপাতালগুলোতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার জ্বালানি রয়েছে। খান ইউনিস এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে প্রতিনিয়ত আহতদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসছে। হাসপাতালগুলোতে খালি নেই বেড। বাইরে টানানো হয়েছে অস্থায়ী তাঁবু। এসবের ওপর যুক্ত হয়েছে খাবার পানি ও বিদ্যুতের সংকট। সব মিলিয়ে এ এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
নাসের হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগপ্রধান মোহাম্মদ কানদিল জানান, স্রোতের মতো রোগীরা আসছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। গত এক ঘণ্টায় ৬০ জন আহত ব্যক্তি এসেছেন। প্রতি মিনিটে একজন রোগী আসছেন। এছাড়া তেল দিয়ে জেনারেটরও বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক ভিডিওবার্তায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেইর আল বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব বলেন, হাসপাতালে এত পরিমাণ লাশ আসছে যে এগুলো রাখার জায়গা হচ্ছে না। অনেক লাশ দিনের পর দিন হাসপাতালে পড়ে থাকে। এরপর এসে অন্যরা সেগুলো নিয়ে যায়।
গত শনিবার (৭ অক্টোবর) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছে। এ হামলার পরপর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি অবরোধের অংশ হিসেবে সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো।
টানা আট দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব আরও বলেন, গাজায় ত্রাণ সহায়তার প্রয়োজন। মর্গের রেফ্রিজারেটর, চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি কফিন ও মরদেহ দাফনের জন্য সরঞ্জামের প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন