ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ১১তম দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এখনো বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরই মধ্যে প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আরও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর এসব হামলা অব্যাহত থাকলে মুসলমান ও প্রতিরোধ জোটের ক্রোধের সামনে কেউ টিকতে পারবে না বলে সতর্ক করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ইরানি সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা।
মঙ্গলবার দক্ষিণ তেহরানে দেশের বুদ্ধিজীবী ও বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেন, ইসরায়েলের অপরাধ চলতে থাকলে মুসলমান ও প্রতিরোধ বাহিনী ধৈর্যচ্যুত হয়ে পড়বে। তাদের কেউ থামাতে পারবে না। এটা তাদের জানা উচিত। এটাই সত্য।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। গাজায় ইসরায়েল হামলা বন্ধ না করলে এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছে তেহরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংসতার জন্য দখলদার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার মতো অপরাধ করছে ইসরায়েলি সরকার। পুরো বিশ্ব তা দেখছে।
এর আগে গত সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করলে আগামী কয়েক ঘণ্টায় প্রতিরোধ জোট আগাম ব্যবস্থা নেবে।
প্রতিরোধ জোট বলতে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বুঝিয়ে থাকে ইরান। এদের মধ্যে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও রয়েছে। এমন সতর্কবার্তা দেওয়ার আগে গত শনিবার হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।
মন্তব্য করুন