গাজার আল-আহলি হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলার সময়কার পরিস্থিতি তুলে ধরেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তারা বলছে, হামলার পর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ আহতদের সাহায্যের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছিল।
হাসপাতালের অর্থোপেডিক সাজারি বিভাগের প্রধান ফাদেল নাইম বলেন, আমরা বিশাল এক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেলাম। এরপর দেখি হাসপাতালে আহত এবং লোকজনের ক্ষতবিক্ষত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
তিনি বলেন, হামলার সাথে সাথে চারদিক থেকে লোকজন সার্জারি বিভাগের সামনে দৌড়ে আসতে থাকে। এ সময় তারা হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতে থাকে। এ ছাড়া তখন হাসপাতাল হতাহত লোকজন দিয়ে ভরে যায়।
বিভাগীয় এ প্রধান বলেন, আমরা কারও বাঁচানোর চেষ্টা করলে সেটা পারতাম। কিন্তু আমাদের সক্ষমতার চেয়ে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। আমরা অনেককে জীবিত দেখেছি। কিন্তু তাদের সাহায্য করতে পারিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আদনান আল নাকা এএফপিকে বলেন, হামলায় পুরো হাসপাতাল আগুনে ভরে যায়। এ সময় সেখানে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলের ভয়াবহ বোমা হামলা হয়। এ ঘটনার পর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে জানান, মঙ্গলবার গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রোগী, নারী ও শিশু রয়েছে।
হামলার পরপর ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটি ভয়াবহ অপরাধ, গণহত্যা। ইসরায়েলকে যেসব দেশ সমর্থন করছে এ হামলার দায় তাদেরও রয়েছে।
গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইবরাহিম রাইসি বলেছেন, মার্কিন ও ইসরায়েলি বোমার আগুন শিগগিরি ইহুদিবাদীদের গ্রাস করবে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধাপরাধের মুখে কোনো আদর্শবান ব্যক্তি নীরব থাকতে পারে না। এ সময় তিনি দেশটিতে এ হামলার কারণে বুধবারকে (১৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় শোক দিবস বলে ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন