ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ ১৪ দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ থামাতে বিশ্বজুড়ে দাবি উঠলেও আমলে নিচ্ছে না কোনো পক্ষই। এমন পরিস্থিতিতে ২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে আগামীকাল শনিবার মিসরের কায়রোতে বৈঠকে বসবেন বিশ্বনেতারা। এরই মধ্যে আট দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
আটটি দেশ হলো বাহরাইন, সাইপ্রাস, মিসর, জার্মানি, ইতালি, জাপান, কুয়েত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল, ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা এই শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবেন। পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যেন এই যুদ্ধ ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে গত সপ্তাহে কায়রো, বৈরুত ও ইসরায়েল সফর করেছেন ক্যাথরিন কোলোনা।
গাজা সংকট মোকাবিলায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল-ফাত্তাহ আল-সিসির আহ্বানে এই শান্তি সম্মেলন হচ্ছে। মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ এই সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে তা প্রতিফলিত হয়েছে।
বুধবার স্কাই নিউজ আরাবিয়াকে মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় উত্তেজনা প্রশমন, যুদ্ধবিরতি এবং দীর্ঘদিনের সংঘাত নিরসনে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে আলোচনা করবেন বিশ্বনেতারা।
এর আগে একই দিন রাফা ক্রসিং দিয়ে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানে একটি চুক্তিতে পৌঁছান মিসরের প্রেসিডেন্ট আল-সিসি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। চুক্তির আওতায় মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় ২০টি ট্রাক প্রবেশ করবে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলার জবাবে সেখান টানা বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের ১৪ দিনের বোমাবর্ষণে এখন পর্যন্ত গাজায় চার হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২ হাজরের বেশি আহত হয়েছে। এ ছাড়া পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮০ জনে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন