ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েল যে আগ্রাসন চালিয়ে আসছে তাতে তেল আবিবের প্রতিদিন ২৬ কোটি ডলার খরচ হচ্ছে। মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ গতকাল (রোববার) এ খবর দিয়েছে।
পত্রিকাটি জানায়, প্রথম দিকে যেভাবে ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে এই যুদ্ধে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। এতে ইসরায়েলের অর্থনীতির ওপর বড় রকমের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের ক্ষতি হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার। ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয় গত মাসে যে পরিমাণে অর্থ ধার করেছে তার চেয়ে শতকরা ৭৫ ভাগ বেশি চলতি নভেম্বর মাসে ধার করবে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু সরকার গাজা আগ্রাসনের জন্য অর্থের জোগান দিতে ক্রমেই বন্ডের দিকে ঝুঁকছে। গাজার বিরুদ্ধে আগ্রাসন ইসরায়েলের ৪৮৮ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করেছে এবং ইসরায়েলের ভেতরে হাজার হাজার ব্যবসা বাধাগ্রস্ত করছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে গত শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদে বৈঠক করেছেন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা। তবে বৈঠক শেষে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং ইসরায়েলের নিন্দা করা ছাড়া আর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি তারা। মূলত তিন দেশের বিরোধিতায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
শুরুতে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ২২ দেশের আরব লিগ এবং ৫৭ দেশের ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) আলাদা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে চূড়ান্ত বিবৃতি নিয়ে আরব লিগের প্রতিনিধিদল একমত হতে না পারলে দুই জোটের বৈঠক একসঙ্গে করা হয় বলে এএফপিকে জানিয়েছেন আরব কূটনীতিকরা।
গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের তেল সরবরাহ বন্ধ এবং তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দেয় আলজেরিয়া, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশ। তবে ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে অন্তত তিনটি দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। এদের মধ্যে প্রতিবেদনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের নাম বলা হলেও আরেকটি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন