কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৫ এএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:২৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

গাজাবাসীর হাতে দুটি বিকল্প, মৃত্যু অথবা বাস্তুচ্যুতি

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া। । ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া। । ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর সামনে দুটি বিকল্প দিয়েছে ইসরায়েল। এদের একটি মৃত্যু অন্যটি বাস্তুচ্যুতি। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া। খবর আলজাজিরার।

মাজেদ বামিয়া বলেন, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে এটা পরিষ্কার তাদের একমাত্র লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ছাড়া করা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ফেরার মতো বাড়িঘর যেন না থাকে তা নিশ্চিত করতে চায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা যেন ফেরার মতো জীবনীশক্তি না পায় তা নিশ্চিত করতে চায় তারা।

তিনি বলেন, গাজায় জীবনধারণ আর সম্ভব নয়, এটাই বলতে চায় ইসরায়েল। তাদের ভাষায় বলতে হলে স্বপ্রণোদিত অভিবাসন। জোরপূবর্ক বাস্তুচ্যুতির এমনই নাম দিয়েছে তারা। ফিলিস্তিনিদের সামনে ইসরায়েল বিকল্প হিসেবে মৃত্যু বা বাস্তুচ্যুতিকে রেখেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি।

অন্যদিকে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন মাসের এই যুদ্ধে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর কিংবা এর আশপাশে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে বসবাস করছেন।

শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ ইসরায়েলি অবরোধ থাকায় ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।

ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কালিগঞ্জে হিন্দু পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

রাকসুর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়ন বিতরণ ২৪ আগস্ট

টয়লেটে বসে দীর্ঘ সময় কাটান? যে ভয়াবহ রোগের ঝুঁকির কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শেখ হাসিনার সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে স্মৃতিচারণ করলেন বাঁধন 

বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মেহেরপুরে পৌরসভা ঘেরাও

বিশ্ব মশা দিবস / মশা দমনে সচেতনতাই আনবে কাঙ্ক্ষিত সফলতা

কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

চার্টার্ড সেক্রেটারি : ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী এক পেশা 

সিজিএসের সংলাপে বক্তারা / রাজউক দুর্নীতিমুক্ত না হলে ঢাকা বাঁচবে না

যাদের নিয়ে উমামার প্যানেল ঘোষণা

১০

বিয়ের পর স্বাস্থ্য ও ভুঁড়ি বাড়ে কেন? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

১১

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজে ম্যাচ অফিসিয়াল হিসেবে থাকছেন যারা

১২

ছাগল হত্যার অভিযোগে যুবক কারাগারে

১৩

ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্পে বিশাল নিয়োগ, ৮ম শ্রেণি পাসেও আবেদন

১৪

ড. সরোয়ার ও আসিফ মাহতাবকে হত্যার হুমকি ইস্যুতে হেফাজতের বিবৃতি 

১৫

গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের হুমকি, গ্রাহকদের যে বার্তা দিল তিতাস

১৬

পাকিস্তানি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক

১৭

আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছে ইরান

১৮

রহস্যময় ছবির পাশে লেখা ‘আম্মু-আব্বু আমারে মাফ করে দিও’

১৯

এবার এনবিআরের ৩ কর্মকর্তাকে বদলি

২০
X