ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজাবাসীর সামনে দুটি বিকল্প দিয়েছে ইসরায়েল। এদের একটি মৃত্যু অন্যটি বাস্তুচ্যুতি। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত মাজেদ বামিয়া। খবর আলজাজিরার।
মাজেদ বামিয়া বলেন, গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এর মাধ্যমে এটা পরিষ্কার তাদের একমাত্র লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ছাড়া করা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের ফেরার মতো বাড়িঘর যেন না থাকে তা নিশ্চিত করতে চায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা যেন ফেরার মতো জীবনীশক্তি না পায় তা নিশ্চিত করতে চায় তারা।
তিনি বলেন, গাজায় জীবনধারণ আর সম্ভব নয়, এটাই বলতে চায় ইসরায়েল। তাদের ভাষায় বলতে হলে স্বপ্রণোদিত অভিবাসন। জোরপূবর্ক বাস্তুচ্যুতির এমনই নাম দিয়েছে তারা। ফিলিস্তিনিদের সামনে ইসরায়েল বিকল্প হিসেবে মৃত্যু বা বাস্তুচ্যুতিকে রেখেছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা করে চলেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি হামলায় সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন প্রায় ৫৬ হাজার ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় তিন মাসের এই যুদ্ধে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন গাজার ৮০ শতাংশ মানুষ। বর্তমানে তারা দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর কিংবা এর আশপাশে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বা তাঁবুতে বসবাস করছেন।
শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় পূর্ণ ইসরায়েলি অবরোধ থাকায় ফিলিস্তিনিরা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও ওষুধ পাচ্ছেন না। রাফাহ সীমান্তপথ দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে শুরু করলে বিপর্যয়কর মানবিক সংকটের কিছুটা লাঘব হয়। তবে তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজায় পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করছে না। ফলে গাজার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
মন্তব্য করুন