ইসরায়েলের মাটিতে ইরানের হামলার জবাবে তেলআবিব যদি পাল্টা কোনো হামলা চালায় তবে তার শক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইরান। এমনকি তেহরানের হামলার কোনো শক্ত জবাব না দেওয়ার বার্তাও ছিল পশ্চিমাদের। কিন্তু সব ধরনের সতর্কবার্তা কানে না তুলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইরানের মাটিতে হামলা চালায় ইসরায়েল।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ হামলার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে আরও বিস্তৃত আকার দেওয়ার সূচনা করল তেলআবিব। এখন ইরান কীভাবে এর পাল্টা জবাব দেবে তাই ধারণা করার চেষ্টা করছেন বিশ্লেষকরা।
ইসরায়েলের হামলার পর ইরান ব্যাপারটিকে খুবই স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। এমনকি ইরানের মাটিতে কোনো প্রকার হামলা হয়নি বলে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য রেখেছে।
এমন পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে ইরান সংঘাতকে দমিয়ে রাখার জন্য নিজের দিক থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছে। যদিও ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছিল পাল্টা আক্রমণের জবাব কড়াভাবে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েলও পশ্চিমা মিত্রদের পরামর্শ মেনে খুবই সীমিত আকারে ইরানে হামলা পরিচালনা করেছে।
একটি সূত্র বলছে, হামলায় কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার না করে শুধু ড্রোন পাঠিয়ে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছে তেলআবিব। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া এড়াতেই শুধু মুখ রক্ষার দায়ে এ হামলা পরিচালনা করেছে ইসরায়েল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ইরানের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি এ হামলার জবাবে তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলার কোনো পরিকল্পনা করেনি তেহরান। এমনকি এ হামলার পেছনে কে রয়েছে সে ব্যাপারেও তেহরান অবগত নয় বলে মন্তব্য করেন এ কর্মকর্তা।
বিশ্লেষকদের মতে ইরানের কোনো পারমাণবিক স্থাপনা অথবা সামরিক ও বেসামরিক কোনো প্রাণহানি ঘটলে এর প্রতিক্রিয়া তীব্রভাবে দেখানো চেষ্টা করত তেহরান।
যেহেতু ইসরায়েলের এ হামলায় কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি তাই তেহরান এখন কৌশলগতভাবে নিশ্চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্তব্য করুন