আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ সাবমেরিনের সন্ধানে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে বিভিন্ন দল। জটিল এই উদ্ধার অভিযানে অত্যাধুনিক সব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী সরঞ্জাম ব্যবহৃত হচ্ছে এ অভিযানে—
গত মঙ্গল ও বুধবার সাবমেরিন থেকে দুবার আওয়াজ শোনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। দুবারই কানাডার পি-থ্রি বিমান এ শব্দ শনাক্ত করেছে। পি-থ্রি মডেলের এ ওরিয়ন স্পটার বিমানটি যে কোনো ধরনের বস্তু শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে ইনফ্রারেড, দীর্ঘ পাল্লার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা ও বিশেষ ইমেজিং রাডার।
উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত আরেকটি যন্ত্র হলো দূরনিয়ন্ত্রিত জলযান (আরওভি)। এটি সাগরের তলদেশে অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হয়। আরেকটি যন্ত্র হলো ভিক্টর ৬০০০। এটি মানববিহীন ফরাসি রোবট, যা সাগরের ৬ হাজার মিটার তলদেশে অনুসন্ধান কাজ চালাতে পারে। এতে আটকে পড়া জাহাজ উদ্ধারে এমন কয়েকটি হাত রয়েছে, যেগুলো দূরনিয়ন্ত্রিত।
এ ছাড়া সাগরের গভীর তলদেশ থেকে ভারী জিনিস তুলে আনতে সক্ষম ফাডাস নামে একটি জাহাজ পাঠাচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী। উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে কানাডার বিমানবাহিনীর সিপি-১৪০ মডেলের একটি বিমান রওনা হয়েছে।
গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় সাবমেরিনে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল। সবশেষ গতকাল রাতে সেখানে ২০ ঘণ্টার অক্সিজেন মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন উদ্ধার দলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাগার। এ তথ্য তিনি দিয়েছিলেন প্রায় ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা আগে। সে হিসাব অনুযায়ী, সাবমেরিনে আর মাত্র ১০ ঘণ্টার মতো অক্সিজেন রয়েছে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।
মার্কিন কোস্টগার্ডের ক্যাপ্টেন জেমি ফ্রেডরিক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ক্রুরা জটিল এই উদ্ধার অভিযানে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন