কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সৌদি আরবে জনপ্রিয় হচ্ছে পোকা-মাকড়ের মেনু

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

খাবার হিসেবে কোন দেশের মানুষ পোকা-মাকড় খায়, এমন প্রশ্ন করা হলে এক বাক্যে উত্তর আসবে চীন, জাপান কিংবা কোরিয়ার নাম। তবে বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও খাবার হিসেবে সৌদি আরবে পোকা-মাকড়ের কদর বাড়ছে। দিন যত সামনে এগোচ্ছে সৌদিদের মাঝে এ ধরনের খাবারের চাহিদা ততই বাড়ছে। প্রতিদিনই পোকা-মাকড়ের নতুন নতুন পদ নিয়ে আসছেন সৌদিরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন হরেক রকমের রন্ধন কৌশল। বর্তমানে মরুর দেশে পোকা-মাকড়ের মৌসুম হওয়ায় মানুষের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা আরও বেড়েছে।

অনুকূল আবহাওয়ার কারণে সৌদি আরবের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পোকা-মাকড় জন্মে। অবশ্য সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় মদিনা ও কাসিমের মতো অঞ্চলে। এই দুই অঞ্চলে পোকা যেমন সুস্বাদু তেমনি সহজলভ্য। তবে এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও সৌদি আরবে এখনো পোকামাকড়ভিত্তিক খাবারের জন্য আলাদা কোনো রেস্তোরাঁ নেই।

দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদিদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো পোকার বার্গার। মাত্র সাড়ে সাত রিয়ালে পাওয়া যায় এই বার্গার। সুস্বাদু এই বার্গারে পোকা ও বান রুটি ছাড়াও থাকে পেঁয়াজ, কেচাপ।

সৌদি আরবে পোকা-মাকড়ের খাবার জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে সামাজিকমাধ্যম। সেখানে পোকাপ্রেমীরা প্রায় সময়ই পোকা-মাকড় শিকার ও কেনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কীভাবে রান্না করলে বেশি স্বাদ পাওয়া যাবে, এমন নানা কৌশল জানিয়েছে ভিডিও পোস্ট করেন। ফলে সৌদি সামাজিকমাধ্যমে বর্তমানে এই ধরনের খাবার ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে।

অনেক বিখ্যাত সামাজিকমাধ্যম এই ধরনের খাবার থেকে মানুষকে উৎসাহিত করে চলেছেন। তাদের একজন হলেন ইয়াদ আল হামুদ। তিনি এক্সে বেশ জনপ্রিয়। বিদেশ থেকে আমদানি করা পোকা-মাকড়ের চেয়ে দেশীয় পোকা-মাকড়ের খাবার খেতে তিনি মানুষকে উৎসাহিত করেন। দেশীয় পোকা-মাকড় যেমন দামে সস্তা তেমনি সুস্বাদুও বটে।

আরেকজন কনটেন্ট নির্মাতা হলেন মেশাল আল গারিব। তিনি পোকা-মাকড় বিক্রির ওপর বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিওতে তিনি কীটনাশকহীন ও প্রাকৃতিক উপায়ে সৌদি পোকা-মাকড় সংগ্রহের ওপর জোর দেন।

তবে সৌদি সমাজের সবাই পোকা-মাকড় খায়, বিষয়টি মোটেও এমন নয়। এ নিয়ে সেখানে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। সমাজ হয়ে গেছে দুভাগে বিভক্ত। কেউ কেউ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত পছন্দ বা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য হিসেবে দেখে থাকেন। অন্যরা এর সঙ্গে দারিদ্র্যকে সম্পৃক্ত করেন। তারা বলেন, সৌদি আরবে এই ধরনের খাবারের কোনো প্রয়োজন নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মদ পানে মহা সর্বনাশ, ৬ জনের মৃত্যু

বড় ভাই মির্জা ফখরুলের মতোই কবিতা দিয়ে শুরু করলেন মির্জা ফয়সল

সোনারগাঁয়ে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন

মা ইলিশ রক্ষায় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার টহল

ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির মাদকবিরোধী আলোচনা সভা

নিউমার্কেটে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার ১

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করায় ছাত্রশিবিরের নিন্দা

শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের বিবৃতি

কক্সবাজার আদালতে বিচারকের মোবাইল-মানিব্যাগ চুরি

পাঠ্যপুস্তক ছাপার দায়িত্ব হস্তান্তর ‘মাথাব্যথায় মাথা কাটার মতো সিদ্ধান্ত’ : টিআইবি

১০

বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ভারতকে হারাল অস্ট্রেলিয়া

১১

মৌসুমি বায়ুসহ আগামী ৪ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

১২

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা

১৩

এবার উপদেষ্টাদের নিয়ে মুখ খুললেন সামান্তা শারমিন

১৪

ঢাকায় আসছেন জাকির নায়েক

১৫

ছক্কা মেরে ইতিহাস গড়লেন স্মৃতি মান্ধানা!

১৬

উপদেষ্টা রিজওয়ানাকে এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি

১৭

একটি দল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় : কফিল উদ্দিন 

১৮

চাকসু নির্বাচনে নতুন প্রত্যয়ে ছাত্রদল

১৯

বন্দর ব্যবসায়ী নেতারা / মাশুল বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের ষড়যন্ত্রের অংশ

২০
X