সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেচে-গেয়ে ভক্তদের মাতিয়ে রাখছেন এক বৌদ্ধভিক্ষু। মঞ্চে তাকে দেখে হয়তো কারো কারো কপালে চোখ উঠে যাবে।কিন্তু এই ভিক্ষুই দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন কোরিয়ান তরুণদের কাছে।
তিনি পরিচিতিও পেয়েছেন ডিজে বৌদ্ধভিক্ষু হিসেবে। জনপ্রিয় এ বৌদ্ধভিক্ষুর নাম ইউন সুং-হো। আদতে ছিলেন একজন কৌতুক অভিনেতা সেখান থেকে হয়ে উঠেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রাখেন মঞ্চ।
ইউন সুং-হোর চোখ ধাঁধানো ক্রীড়াকৌশলের কারণে তরুণদের অনেকেই বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই কোরিয়ানদের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস কমে আসছে।
২০২১ সালের এক জরিপে দেখা যায়, বিশের দশকে দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ ধর্মের প্রতি অনুগত বলে স্বীকার করেছিল। ২০০৪ সালে তা ছিল ৪৫ শতাংশ।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী তরুণদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আগ্রহ পূর্বের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।
তরুণদের মধ্যে ধর্মের প্রতি জনপ্রিয়তা পুনরুজ্জীবিত করার অনেকটাই কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে ডিজে বৌদ্ধভিক্ষু হিসেবে পরিচিত ইউনকে। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ার জেন বৌদ্ধের ঊর্ধ্বতন পাদরিরা আধুনিক ডিজে ভিক্ষুকে স্বাগত জানিয়েছে।
আলোচিত এ ভিক্ষু অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ায় বৌদ্ধ ধর্মের পুনর্জাগরণে নিজের অবদানকে তেমন উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন না।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানান, তিনি মূলত কিছুই করেননি। দেশটির বৌদ্ধভিক্ষুরা বেশ মুক্তমনা এবং তিনি কেবল তাদের অনুসরণ করছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার এ ডিজে ভিক্ষুর ক্রীড়াকৌশল এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়েছে। এমনকি ইনস্টাগ্রামেও এ ভিক্ষুর রয়েছে হাজার হাজার ফলোয়ার।
ঊর্ধ্বতন এক বৌদ্ধভিক্ষু ইউনের সন্ন্যাসী নাম দিয়েছিলেন ‘নিউজিন্সনিম’। তিনি বলেন, কে-পপ কোরিয়ান গার্লদের সঙ্গে নিউজিন্সনিমের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সে যখন মঞ্চে তার নাচ-গান করে তখন শত শত তরুণ-তরুণী হাত নেড়ে তার এসব উপভোগ করে।
মন্তব্য করুন