একটা বয়সের পর কিছু প্রজাতির সাপের মাথায় না কি ‘মণি’ তৈরি হয়! যা অমূল্য রত্ন। যদি কারও হাতে আসে তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। চারদিকে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে বাংলাদেশে তো বটেই বলিউডে বহু নাটক, সিনেমা হয়েছে। কিন্তু ‘নাগমণি’ বলে কি আদৌ কিছু আছে? না কি পুরোটাই কল্পনা? বিজ্ঞান কী বলছে?
অনেকে বিশ্বাস করেন, স্বাতী নক্ষত্র থেকে বৃষ্টির ফোঁটা কিং কোবরার ফণায় পড়লে নাগমণি তৈরি হয়। নাগমণিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শিবের আশীর্বাদ রয়েছে।
কিং কোবরা কখনই এটা ফণা থেকে বের করে না। এমনটা বিশ্বাস করা হলেও বিজ্ঞান এটাকে মন গড়া বলেই উড়িয়ে দিয়েছে।
ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা বলছে, সাপের মাথায় বা ফণায় নাগমণির অস্তিত্ব কোনো কালেই পাওয়া যায়নি। মাথার ভেতর মণি বা মুক্তা থাকার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই। পুরোটাই কল্পনা বলেও দাবি করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্ভবত লোককথা বা কুসংস্কার থেকেই এমন ধারণার জন্ম হয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের মতো সাপেরও পিত্তথলিতে পাথর থাকতে পারে। বড় পাথর থেকে ছোট ছোট টুকরো পাথরও বের হয়।
সাপের পিত্তথলির এই পাথরই ‘নাগমণি’ বলে কেউ ভুল করেছিলেন। পরে সেটাই জনপ্রিয়তা পায়। মানুষ সাধারণ পাথরকে নাগমণি ভেবে বসে।
মন্তব্য করুন