সম্প্রতি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে নিয়ে টুইট করেছিলেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। যার কারণে তাকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ ঘটনা ওঠে এসেছে জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে।
শুক্রবার জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে বসেন এক সাংবাদিক। সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিক জানতে চান, কোনো ইস্যুতে টুইট করায় কোনো সদস্যরাষ্ট্র জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীকে তলব করতে পারে কি না।
সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে জবাব দিয়েছেন স্টিফেন দুজারিক। তিনি বলেন, ‘সদস্যদেশের সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীকে তলব করাটা অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। সমন্বয়কারীর বলা কোনো কথার সঙ্গে সে দেশের দ্বিমত থাকলে তলব করতেই পারে। এটাই যথাযথ প্রক্রিয়া। তবে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের দলের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’
বাংলাদেশ ঈস্যুতে স্টিফেন দুজারিকের কাছে সাংবাদিকরা আরও জানতে চায়, ‘বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। অন্তত দুজনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা আগামী জানুয়ারির নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চান। জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আপনি কী মনে করেন?
জবাবে স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের কথা বলার, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, মানুষের এসব অধিকার রক্ষায় সহায়তা করা। সবখানেই এমনটা চলে। আমাদের এ প্রশ্ন বহুবার করা হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে আমি আর এমন কোনো পূর্বাভাস দিতে চাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন : জাতিসংঘের প্রতিনিধিকে ডেকে যা বলা হলো
ঊল্লেখ্য গত মঙ্গলবার গোয়েন লুইস ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেন। যার ফলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক সমন্বয়কারী শেলডন ইয়েটকে তলব করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গোয়েন লুইস এ মুহূর্তে বাংলাদেশে না থাকায় ইউনিসেফের এ দেশীয় প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন।
মন্তব্য করুন