কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রাজনৈতিক বিরোধ থাকা সত্ত্বেও বিরল ঐক্য দেখাল পাকিস্তান

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে রাজনৈতিক বিরোধ এবং আর্থিক-সামাজিক সমস্যার মধ্যে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যেখানে দেশের রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিরোধ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সংসদ সদস্যদের বেতন ৩০০ শতাংশ বাড়ানোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সমালোচনা উপেক্ষা করে এ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন, যা জাতীয় সংসদ সদস্যদের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পাকিস্তানের জাতীয় সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সূত্র জানায় যে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর সংসদের স্পিকার, সরদার আযাজ সাদিক এ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। জানুয়ারিতে সংসদ সদস্যরা তাদের নতুন সংশোধিত বেতন পেয়েছেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তীব্র বিরোধ থাকলেও এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের অর্থ কমিটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় একটি বিরল ঐক্য লক্ষ করা গেছে। ওই সভায় ট্রেজারি এবং বিরোধী বেঞ্চের সদস্যরা সংসদ সদস্যদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছেন। স্পিকার আযাজ সাদিকের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই কমিটি প্রতিটি সংসদ সদস্য এবং সেনেটরের মাসিক বেতন ৫ লাখ ১৯ হাজার রুপি করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এর আগে, সংসদ সদস্যরা মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার রুপি বেতন পেতেন। কিন্তু ১০ লাখ রুপি বেতনের প্রস্তাব উঠলেও স্পিকার সাদিক সেটি প্রত্যাখ্যান করে ৫ লাখ ১৯ হাজার রুপি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কমিটিকে জানানো হয়, এই বেতন বৃদ্ধির পরও সংসদ সদস্য এবং সেনেটরের বেতন প্রাদেশিক সংসদ সদস্যদের বেতনের চেয়ে কম থাকবে।

এদিকে, পাকিস্তানের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো, যেমন- পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস পার্টি), পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) এবং পিএমএল-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নেওয়াজ) এর সংসদ সদস্যরা স্পিকার আযাজ সাদিকের সাথে বৈঠক করে নিজেদের বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান। তারা প্রাদেশিক সংসদ সদস্যদের বেতনের সাথে নিজেদের বেতন তুলনা করেন এবং বেতন বৃদ্ধির অনুরোধ করেন।

এদিকে, গত সাত বছরে জাতীয় সংসদ সদস্যদের বেতন একবারও বৃদ্ধি হয়নি, ফলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ বেতন বৃদ্ধির ফলে সংসদ সদস্যরা তাদের আগের অবস্থানের তুলনায় কিছুটা আর্থিক স্বস্তি পাবেন। তবে, বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি থেকে সমালোচনা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সংসদীয় সিস্টেমে এটি একটি ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পবিপ্রবিতে অর্থ কেলেঙ্কারি, ২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত

শাহজালালে ১৩০ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার

ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি : দিবসেই শুধু কদর বাড়ে নিহতদের পরিবারের

৩৫ বছর ধরে বেদখলে থাকা জমি ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্ধার

ঘোষিত দলে কেন জায়গা হয়নি নেইমারের, জানালেন আনচেলত্তি

মাছের মাথার ‘সোনার মণি’ বিক্রি করে লাখ টাকা আয় নেওয়াজের

পার্লামেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, এক রাতেই সব পুড়ে ছাই

থালাপতির মতো কেন জনতার নায়ক হতে পারলেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা?

সেনাবাহিনীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, ৮ সদস্য আহত

ইরানের সঙ্গে বসছে ইউরোপের তিন শক্তি

১০

নিউইয়র্কে কনস্যুলেটের ঘটনায় মিশনের ব্যাখ্যা

১১

আজকে স্বর্ণের বাজার দর

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ শুনানি শুরু

১৩

বোলিং করতে না দেওয়ায় অধিনায়ককে গুলি করে হত্যা

১৪

জেনে নিন উচ্চ রক্তচাপের ১২ কারণ

১৫

১৬ বছর বয়সী কিশোরের ইতিহাস গড়া ম্যাচে লিভারপুলের শ্বাসরুদ্ধকর জয়

১৬

রুমিন ফারহানাকে নিয়ে অজানা গল্প বললেন আরজে কিবরিয়া

১৭

গাঁজা নিয়ে কারাগারে প্রবেশকালে কর্মচারী আটক

১৮

ডাকসুর প্রচারণায় মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

১৯

চাকসু নির্বাচনে প্রক্টর ও রেজিস্ট্রারের অব্যহতি চেয়েছে ছাত্রদল

২০
X