পাকিস্তান গোপনে তাদের পরমাণু অস্ত্রভান্ডারকে আধুনিকীকরণ করছে—এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (ডিআইএ)। ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ডিআইএ জানিয়েছে, পাকিস্তান শুধু পরমাণু অস্ত্রকে উন্নত করছেই না, বরং পারমাণবিক কমান্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেমের নিরাপত্তাও জোরদার করছে। ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, ভারত বর্তমানে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণে থাকা দেশ। ইসলামাবাদ আগামী এক বছরে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে ভারতকেই প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে সামরিক প্রস্তুতি ও পারমাণবিক সক্ষমতা উভয় খাতেই অগ্রাধিকার দেবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান তাদের সামরিক ও পারমাণবিক ক্ষমতাকে ভারতের তুলনায় উন্নত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রতিযোগিতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে পরমাণু উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
পারমাণবিক শক্তিতে কে এগিয়ে?
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০২৫ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী: ভারতের হাতে রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০টি পরমাণু অস্ত্র। আর পাকিস্তানের হাতে রয়েছে ১৪০ থেকে ১৫০টি পরমাণু অস্ত্র।
পরিসংখ্যান বলছে, সংখ্যার দিক থেকে পাকিস্তান সামান্য এগিয়ে, যদিও দুই দেশই ক্রমাগত তাদের পরমাণু প্রযুক্তি উন্নত করতে কাজ করছে।
পরমাণু অস্ত্রভান্ডারকে আধুনিকীকরণে পাকিস্তানের তৎপরতা মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক। বিশেষ করে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা বেড়েছে। এমন অবস্থায় পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকীকরণ অঞ্চলে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন