জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক দুই হলের নতুন নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পরিবর্তে ‘বিদ্রোহী হল’ এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তে ‘শিউলিমালা হল’ নামফলক করা হয়েছে।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভাষণ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেন। ওই রাতেই ‘বঙ্গমাতা’ হলের নামফলক ও ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করা হয়।
এসময় উত্তেজনা বশে মই থেকে পিছলে পড়ে চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহজালাল আহমেদ জনি গুরুতর আহত হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যুরাল ও নামফলক সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকটি প্রতীকী স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-২৪ স্কয়ার’ রাখা হয়। একইসঙ্গে ছাত্রদের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘বিদ্রোহী হল’ এবং ছাত্রীদের ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘শিউলিমালা হল’ রাখা হয়।
বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটে হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর নতুন নামফলক স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয় হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে অফিসিয়ালভাবে অনুমোদন এবং বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লেগেছে।
শিউলিমালা হলের প্রভোস্ট ড. হাবিবা সুলতানা জানান, জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট সভায় হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগে। নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে বহু মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করছেন। এই অবস্থায় হলের নামফলক খালি থাকাটা শোভনীয় নয়। তাই প্রশাসনের কাছে নতুন নামফলক দ্রুত স্থাপনের অনুরোধ জানাই। প্রশাসন প্রকৌশল দপ্তরকে নির্দেশ দিলে তারা নামফলক স্থাপনের কাজ শুরু করে।
মন্তব্য করুন