কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউক্রেনে সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা, কী চান পুতিন?

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। ফাইল ছবি
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। ফাইল ছবি

ইউক্রেনে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (২৪ মে) রাতভর একাধিক শহরে চালানো এই আক্রমণে প্রায় ৩৬০টি ড্রোন ব্যবহার করেছে রুশ সেনারা। হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লাইমেঙ্কো।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় ক্লাইমেঙ্কো বলেন, এই হামলা ছিল সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত একটি সমন্বিত এবং নিষ্ঠুর অপারেশন। শত্রুরা আবারও প্রমাণ করল- তাদের উদ্দেশ্য শুধুই ধ্বংস ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।

এই হামলার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্র চুপ করে থাকবে, এই যুদ্ধ থামবে না। বরং এটি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আরও উৎসাহিত করছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, এ ধরনের হামলাই যথেষ্ট প্রমাণ যে, রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ সময়ের দাবি। আমরা শুধু প্রতিরক্ষাই করছি, কিন্তু আগ্রাসন বাড়ছেই।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনও শনিবার রাতে পাল্টা হামলায় ৯৫টি ড্রোন ছুড়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই রাশিয়ার ভেতরে প্রতিহত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের দাবি অনুযায়ী, এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে মস্কোর বিমানবন্দরগুলোতে সাময়িকভাবে ফ্লাইট স্থগিত রাখা হয় নিরাপত্তাজনিত কারণে।

এই হামলার প্রকৃতি এবং ব্যাপকতা দেখে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, পুতিনের আসল লক্ষ্য কী? বিশেষ করে এমন সময় এই হামলা চালানো হলো যখন ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে নতুন সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, এই ধরনের ‘আতঙ্ক সৃষ্টি’ কৌশলের মাধ্যমে পুতিন একদিকে ইউক্রেনের মনোবল ভাঙতে চাইছে, অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর ‘যুদ্ধ ক্লান্তি’ বাড়িয়ে তাদের সহানুভূতি ও সহায়তা কমিয়ে আনতে চাইছেন।

এই রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে নতুন এক মাত্রায় নিয়ে গেছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। কারণ এতে করে পশ্চিমা মিত্রদের ওপর চাপ আরও বাড়বে- তারা কি ইউক্রেনের পাশে কঠোরভাবে দাঁড়াবে, না কি সহানুভূতির জায়গা থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে?

যুদ্ধের মাঝখানে এই সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা প্রমাণ করে যে, সংকট নিষ্পত্তি এখনো অনেক দূরে। এবং এই প্রশ্নটি আবারও সামনে চলে আসে-আসলে কী চান পুতিন?

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চমক রেখেই বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচের প্রাথমিক দল ঘোষণা আর্জেন্টিনার

মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল শিশু সন্তানেরও

মব সৃষ্টি করে বাধা, ছাত্রদলের অভিযোগের তদন্তে কমিটি গঠন 

গুলশানে সাংবাদিক মুনজুরুল করিমের কফিশপ ভাঙচুর

মাভাবিপ্রবিতে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বিষয়ে সেমিনার

ছিনতাইয়ের ২ ঘণ্টার মধ্যে অটোরিকশা উদ্ধার

মিরসরাইয়ে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

মনোয়ারুল কাদির বিটুর নেতৃত্বে ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা 

৩২ নম্বরে ফুল দিতে এসে গ্রেপ্তার সেই রিকশাচালক কারামুক্ত

গাজার সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হামাস

১০

হ্যাটট্রিক নায়ক সনি বেকার: ইংল্যান্ডের পেস আকাশে নতুন তারা

১১

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে বর্ষসেরা দুমকির ইউএনও ইজাজুল হক

১২

চরম শত্রু থেকে পরম বন্ধু হতে যাচ্ছে চীন-ভারত?

১৩

চবিতে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্তে অসামঞ্জস্যতা

১৪

শেখ মুজিবের ছবি না সরানোর কারণ জানালেন জবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান

১৫

এক বছরে অনন্য রেকর্ড মুনাফা করল বিমান

১৬

ঐশ্বরিয়ার ব্লকবাস্টার সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন গোবিন্দ

১৭

অপারেশন সিঁদুর / নিহত দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করেই মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

১৮

রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো নিয়ে রিজভীর প্রতিক্রিয়া

১৯

এক টাকাও খরচ করতে পারেনি ১২ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ

২০
X