কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

এখন কী করবেন ইমরান সমর্থিত বিজয়ী প্রার্থীরা

ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচি। ছবি : সংগৃহীত
ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচি। ছবি : সংগৃহীত

সকল জল্পনা-কল্পনা পেছনে ফেলে পাকিস্তানের নির্বাচনে ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেছিলেন জেলে থেকে এবার সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে পারবেন না ইমরান খান। তাদের সেই আভাস ভুল প্রমাণ করে সবচেয়ে বেশি আসন জিতে নিয়েছে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সরকার গঠন করবে কারা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ বিজয় ভাষণ দিয়ে দিয়েছেন। ওই ভাষণে তিনি জোট সরকার গঠনের ইঙ্গিত দেন। তবে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী করবেন বা তাদের অবস্থান কোথায়, তা এখনো জানা যায়নি।

পাকিস্তানে ২৬৫ আসনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫১ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপলস পার্টি বা পিপিপি।

তবে নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্যের পরও পিটিআই এখনো সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। কারণ, এবারের নির্বাচনে তারা ব্যাট প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি পায়নি। তাদের শীর্ষ নেতা ইমরান খান একের পর এক মামলায় কারাগারে আছেন। ফল ঘোষণার দিনে ইমরান খান ১৪ মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি পেতে জামিন নিতে হবে আরও অনেক মামলায়।

ফলে ইমরান খান সমর্থিত প্রার্থীরা সর্বোচ্চ সংখ্যক আসনে জয়ী হলেও, হয়তো সরকার গঠন করতে পারছে না পিটিআই। কারণ, সংখ্যালঘুদের জন্য নির্ধারিত আসনে তাদের জন্য কোটা বরাদ্দ থাকবে না। তাহলে পিটিআইয়ের সামনে এখন কোন পথ খোলা আছে?

পাকিস্তানি নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মিলে একটি দল গঠনের চেষ্টা করতে পারে। যার নাম হতে পারে ইনসাফ বা অন্যকোনো কিছু। সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে তাদের পরিণতি শুভ নাও হতে পারে।

এর আগে ১৯৮৫ সালে জেনারেল জিয়াউল হকের সময়ে এর চেয়ে বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন গোটা পার্লামেন্টই ছিল স্বতন্ত্রদের দখলে। নির্বাচিত প্রার্থীরা পার্লামেন্টে যাওয়ার পর ঐক্যবদ্ধ হলে সেই দলের নাম দেওয়া হয় পাকিস্তান মুসলিম লীগ, যার থেকে বর্তমান পিএমএল-এন এবং পিএমএল-কিউয়ের সৃষ্টি।

নির্বাচনে পিটিআই তাদের প্রতীক ব্যবহারের অনুমতি না পেলেও জনগণের বিশাল সমর্থন পেয়েছে। সরকার গঠন করতে না পারলেও স্বতন্ত্ররা বিরোধীদলে থাকতে পারবেন, তবে তাদের একটি দলে যোগ দিতে হবে বলে মনে করেন সে দেশের রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেই তন্বীর সম্মানে ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়ে দিল ছাত্রদল

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

মাছ চাষের নামে বাঁধ, পানির তলে শত বিঘা আমন ধান

ঘরে বসেই ঘন ও স্বাস্থ্যবান চুল পেতে মেনে চলুন এই ৭ টিপস

সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা 

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি

জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীকে হত্যা, আ.লীগ নেতা মানিক গ্রেপ্তার

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার পলক-আতিক, রিমান্ডে কিরণ

কক্সবাজারে মাহিন গ্রুপের ২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ভক্তদের চমকে দিলেন হানিয়া আমির

১০

রক্তের দাগ অনুসরণ করে মিলল অটোচালকের মরদেহ

১১

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ গতিশীল হোক

১২

ডাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা ছাত্রদলের

১৩

জুলাই হত্যাযজ্ঞ / পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাদের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ

১৪

বিল বেশি আসায় লাইনম্যানকে ‘মারধর’, মিটার খুলে নিল বিদ্যুৎ অফিস

১৫

নেদারল্যান্ডস সিরিজ খেলবেন না মিরাজ

১৬

ভয়াবহ অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ অনুমোদন, গাজার পথে ৬০ হাজার ইসরায়েলি সেনা

১৭

রাতের আঁধারে সরকারি ৩০০ বস্তা সার আটক

১৮

'ওয়ার ২'-এর সাফল্যের মাঝে প্রিয়জন হারালেন জুনিয়র এনটিআর

১৯

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ‘পেছনে’ ফেলে ইতিহাস সালাহ’র

২০
X