কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২১ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

স্বৈরশাসক নিয়ে জেন জির মনোভাব জানা গেল গবেষণায়

মাত্র ৬ শতাংশ জেন জি সত্যিকার অর্থে একনায়কত্ব সমর্থন করে। ছবি: সংগৃহীত
মাত্র ৬ শতাংশ জেন জি সত্যিকার অর্থে একনায়কত্ব সমর্থন করে। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার সংবিধান গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে। সে অনুযায়ী কোনো নেতার হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সুযোগ নেই। তবে বর্তমানে এটি বড় পরীক্ষার সম্মুখীন।

সম্প্রতি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বলেছেন, ‘বিচারকদের নির্বাহী ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই।’ অনেকে মনে করছেন, এর মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের রায় উপেক্ষা করতে পারে, যা একনায়কত্বের ইঙ্গিত দেয়।

এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ৪-এর এক জরিপ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছু গণমাধ্যম দাবি করেছে, ব্রিটেনের অর্ধেকেরও বেশি জেন জি (১৩-২৭ বছর বয়সী তরুণ) একনায়কত্ব সমর্থন করে। শিরোনামগুলো ছিল যেমন, ‘ভোট দেওয়া ঝামেলা... জেন জি-রা একনায়ক পছন্দ করে।’

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। জরিপে আসলে তরুণদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘যুক্তরাজ্য কি ভালো চলবে যদি একজন শক্তিশালী নেতা থাকেন, যিনি সংসদ ও নির্বাচনের তোয়াক্কা করেন না?’ চ্যানেল ৪ কোথাও বলেনি যে এটি সরাসরি একনায়কত্বের সমর্থন। কিন্তু মিডিয়ায় সেটিই প্রচারিত হয়েছে।

অন্য দুটি গবেষণায় – ব্রিটিশ ইলেকশন স্টাডি (বিইএস) ও ওয়ার্ল্ড ভ্যালুজ সার্ভে (ডব্লিউভিএস) – একই ধরনের প্রশ্ন করে ভিন্ন ফল পেয়েছে। ২০২৪ সালে বিইএস দেখিয়েছে, ব্রিটেনে মাত্র ১৩ শতাংশ তরুণ একনায়কতন্ত্রের দিকে ঝুঁকছে, আর ২০২২ সালে ডব্লিউভিএস এ সংখ্যা দেখিয়েছে ২৭ শতাংশ।

আরও একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যখন ‘শক্তিশালী নেতা’ শব্দের বদলে সরাসরি ‘একনায়ক’ বা ‘স্বৈরাচার’ বলা হয়, তখন ১৩-২৭ বছর বয়সী মাত্র ২২ শতাংশ তরুণ এটি সমর্থন করেছে। তবে তাদের অর্ধেকই বলেছেন, তারা সংসদ ও নির্বাচন পুরোপুরি বাদ দিতে চান না।

শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে, মাত্র ৬ শতাংশ জেন জি সত্যিকার অর্থে একনায়কত্ব সমর্থন করে। আসল সমস্যা হলো, এ বিষয়ে দ্রুত দেওয়া জটিল প্রশ্নের উত্তরের অতিরিক্ত বিশ্লেষণ ও ভুল ব্যাখ্যা।

এই ভুল ব্যাখ্যার কারণে তিনটি সমস্যা হয়েছে। এটি তরুণ ও বয়স্ক প্রজন্মের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, মিডিয়ার প্রচারে একনায়কত্ব সমর্থন করা যেন সাধারণ ব্যাপার এবং তরুণদের গণতন্ত্রে আস্থার সংকটকে একনায়কত্বের প্রতি আকর্ষণ বলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।

মূল বিষয় হলো, জেন জি গণতন্ত্র বাদ দিতে চায় না, বরং তারা মনে করে বর্তমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। বাসস্থান, শিক্ষা, চাকরি – সব কিছুতে পুরোনোদের সুবিধা বেশি।

পুরোনো প্রজন্মের উচিত তরুণদের বোঝানো যে গণতন্ত্র এখনো তাদের জন্য কার্যকর হতে পারে। কিন্তু ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা সমস্যার সমাধান নয়। তথ্যসূত্র: দ্য কনভারসেশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস

১৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

জালনোটসহ তিন কিশোর আটক

ঢাকায় শীত অনুভব, সকালে তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে রেকর্ড অভিবাসীর মৃত্যু

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চাই : মান্না

১০

মোটরসাইকেলে এসে আগুন দিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা

১১

জামালপুরে একাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট

১২

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

১৪

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

১৫

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

১৬

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

১৭

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

১৮

জবি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ

১৯

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার কফিল উদ্দিনের

২০
X