কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফিলিস্তিনি ভেবে ২ ইসরায়েলি পর্যটককে গুলি

মায়ামি পুলিশের একটি গাড়ি । ছবি : সংগৃহীত
মায়ামি পুলিশের একটি গাড়ি । ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ফিলিস্তিনি ভেবে দুই পর্যটককে গুলি করেন স্থানীয় এক ইহুদি। পরে জানা যায়, ভুক্তভোগীরা ইসরায়েলি নাগরিক। এ ঘটনার পর হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ফ্লোরিডার এই বাসিন্দার নাম মর্দেচাই ব্রাফম্যান। বয়স ২৭ বছর। তাকে গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে মায়ামি বিচ পুলিশ। এ সময় তিনি হামলার দায় স্বীকার করেন। এরপর গত রোববার ব্রাফম্যানের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়।

গ্রেপ্তারের নথি অনুসারে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নজরদারি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে- ২৭ বছর বয়সী মর্দেচাই ব্রাফম্যান তার ট্রাক থেকে নেমে একটি গাড়ির দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালাচ্ছেন। ব্রাফম্যান ১৭ বার গুলি চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ভুক্তভোগী একজনের বাম কাঁধে এবং অন্যজনের বাম বাহুতে আঘাত লাগে।

হেফাজতে থাকাকালীন ব্রাফম্যান স্বতঃস্ফূর্তভাবে গোয়েন্দাদের বলেছিলেন, তিনি যখন তার ট্রাক চালাচ্ছিলেন, তখন দুই ফিলিস্তিনিকে দেখেন এবং উভয়কেই গুলি করে হত্যা করেন।

যদিও নিহতরা আসলেই ফিলিস্তিনি কিনা তা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেননি। তবে মিয়ামি হেরাল্ড জানিয়েছে, তারা আসলে দুজন ইসরায়েলি ছিলেন। আরি রাবে এবং তার বাবা সেখানে ঘুরতে এসেছিলেন।

গুলিবর্ষণের পর ফেসবুকে কয়েকটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, মায়ামির জ্যাকসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে রাবে চিকিৎসাধীন। তার হুন্ডাই গাড়িতে বেশ কয়েকটি গুলির ছিদ্র এবং চিহ্ন রয়েছে।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো বলছে, ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমবিদ্বেষ, ফিলিস্তিনিবিদ্বেষ ও ইহুদিবিদ্বেষ বেড়ে গেছে। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস-এর ফ্লোরিডা চ্যাপ্টারের জাতীয় নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ এক্স-এ বলেছেন, এটা অত্যন্ত বিদ্রূপাত্মক এবং স্পষ্ট যে মায়ামি বিচে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী উভয়েরই ইসরায়েলপন্থী বর্ণবাদী ফিলিস্তিনি-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।এটি এই দেশে ফিলিস্তিনি-আমেরিকান সম্প্রদায় এবং তাদের জন্মভূমিতে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ঘৃণার সর্বশেষ উদাহরণ। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকদের উচিত ফিলিস্তিনি-বিরোধী ঘৃণাকে উস্কে দেওয়া বন্ধ করা। নেতাদের উস্কানির ফলে গাজায় গণহত্যা এবং আমেরিকায় ঘৃণামূলক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

‘ভারতে পরমাণু হামলা চালাও, ট্রাম্পকে হত্যা করো’ লেখা বন্দুক দিয়ে হামলা

এসএসসি পাসেই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরি

ইউআইইউতে রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সপ্তাহ অনুষ্ঠিত

শহীদ কাদরী: নগরসভ্যতার অন্তরালে এক কবির অনন্ত যাত্রা

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ১০ দফা ইশতেহার ঘোষণা ছাত্রদলের

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি রিসার্চ সোসাইটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

নববধূর আত্মীয়ের হাতে বরের মৃত্যু, আনন্দ প্রকাশেই ছুড়েছিলেন গুলি

জাতীয় পর্যায়ে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাউফলের বুশরা

১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুয়েটের সব পরীক্ষা স্থগিত

১০

বিইউবিটিতে ‘সেরা শিক্ষক পুরস্কার ২০২৫’ প্রদান 

১১

নামাজরত ব্যক্তির কতটুকু সামনে দিয়ে হাঁটা যাবে?

১২

‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো

১৩

‘মঞ্চ ৭১’র অনুষ্ঠানে উত্তেজনা : লতিফ সিদ্দিকীসহ কয়েকজন আটক

১৪

মেসিকে নয়, আর্জেন্টাইন লিগে নেইমারকেই চান ডি মারিয়া

১৫

সাবিলা নূর কেন চুপ ছিলেন?

১৬

এক যুগ পর বাড়ি ফিরলেন ওমান ফেরত মানসিক ভারসাম্যহীন সুমন

১৭

এইডস রোগীদের বাঁচাতে টিকা আনছে রাশিয়া

১৮

বিদেশি শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের মার্কিন ভিসা নিয়ে দুঃসংবাদ

১৯

পরিচালক নয়, সভাপতি হয়েই বিসিবিতে ফিরতে চান তামিম

২০
X