কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ছয় বছর আগে জাতিসংঘে ট্রাম্পের বক্তব্যে শ্রোতারা হেসেছিলেন, এ বছর নীরব

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ছয় বছর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চে বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেবার তার বক্তব্যে পরিষদে হাসাহাসি শুরু হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও সেই জাতিসংঘের মঞ্চে ভাষণ দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবারের পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্রাম্পের বক্তব্যে যেন আগুন ঝরেছে। সেই তাপে সবাই ছিলেন নীরব, অনেকে মুখে দেখা গেছে চিন্তার ভাঁজ।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয় বছর আগে ট্রাম্পের দেওয়া তার বক্তব্যে যখন তিনি নানা ভিত্তিহীন দাবি করেছিলেন, তখন শ্রোতারা হাসাহাসি করেছিলেন। কিন্তু এ বছর তারা বেশিরভাগই নীরবে শুনেছেন। হয়তো কেউ ভীতও হয়েছেন।

বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘তোমাদের দেশগুলো ধ্বংসের পথে যাচ্ছে।’ মূলত এটি ছিল বিশ্বের প্রতি তার দর্শনের অন্যতম স্পষ্ট প্রকাশ। তার সমর্থকদের কাছে এটি ছিল ‘ট্রাম্পিজম আনপ্লাগড’; আর সমালোচকদের কাছে এটি ছিল ‘ট্রাম্পিজম আনহিঞ্জড’।

প্রেসিডেন্ট আয়োজকদের দিকে আঙুল তুলেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ তার শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় কোনো সহায়তাই করেনি। তিনি সংস্থাটির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার ভাষায়, জাতিসংঘের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তা কাজে লাগানো হচ্ছে না। প্রায় এক ঘণ্টার এই ভাষণে তিনি তার প্রতিপক্ষ ও তাদের ধারণাকে একে একে আক্রমণ করেছেন। নিজের ঘর থেকে শুরু করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও নিজের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখন স্বর্ণযুগ চলছে। এসময় তিনি তার সেই বিতর্কিত দাবির আবারও পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, তিনি নিজে সাতটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। তার মতে এগুলোর জন্যই তিনি শান্তিতে নোবেল পাওয়ার দাবিদার।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ইউরোপ গুরুতর সমস্যায় পড়েছে। অবৈধ বিদেশিরা আসছে। তারা এ ব্যাপারে একেবারেই কিছুই করছে না। ইউরোপীয় নেতাদের রাজনৈতিক জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।

অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু না করা হয় তবে পশ্চিম ইউরোপের মৃত্যু হবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জার্মানি, গ্রিস এবং সুইজারল্যান্ডের নাম উল্লেখ করে ইউরোপীয় দেশগুলোর সমালোচনা করেন।

ট্রাম্পের মতে, বেশ কয়েকটি দেশ সীমান্ত উন্মুক্ত করে পরীক্ষা করছে। যদিও ওই সব দেশের কঠোর অভিবাসন আইন রয়েছে। তিনি বলেন, তোমাদের দেশগুলো নরকে যাচ্ছে। আমরা সীমান্ত অতিক্রমকারী সবাইকে আটক-নির্বাসন শুরু করার পর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে ৫ লাখ ৭ হাজার শিশুকে

বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী ইতালি : রাষ্ট্রদূত

অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে ঘুম থেকে উঠছেন? হতে পারে যে ক্ষতি

রাজধানীর যেসব স্থানে থাকেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা, জানাল ডিএমপি

বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আদায়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা রিমান্ডে

চট্টগ্রামে ডিসি কার্যালয়ের সামনে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে শতাধিক শিক্ষার্থীর মানববন্ধন

তাহসানের পাশে দাঁড়ালেন জন কবির, যা বললেন

সাংবাদিক রুহুল আমিন ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর : কাদের গনি 

সাইফুজ্জামানের অর্থপাচারে সহযোগী প্রদীপের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্গাপূজায় সার্বিক বিষয় নিবিড় পরিবীক্ষণে ৩ মন্ত্রণালয়

১০

নির্বাচনের সময় মাঠে থাকবে এক লাখ সেনা : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১

ভারী বৃষ্টি ও বজ্রপাত নিয়ে টানা ৫ দিনের পূর্বাভাস

১২

দিনমজুর নারীকে গলা কেটে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

১৩

বারান্দায় ঝুলছিল পুলিশ সদস্যের লাশ

১৪

বেসরকারি সংস্থা পিএমকেতে কাজের সুযোগ, বেতন ২৫০০০০ টাকা

১৫

আ.লীগ কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : সারজিস

১৬

ঢাকা ওয়াসায় ৮৩ পদে বড় নিয়োগ, আবেদন যেভাবে

১৭

প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবকে কমিটি থেকে বাদ

১৮

ভারতকে কীভাবে হারাতে হবে জানালেন মাঞ্জরেকার

১৯

চোখের পলকে সড়ক ধসে তৈরি হলো বিশাল গর্ত

২০
X