হংকং ও তাইওয়ানকে তছনছ করছে সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’। এর প্রভাবে বিভিন্ন নিচু অঞ্চল তলিয়ে গেছে। এমনকি উপকূলবাসীর আশ্রয় নেওয়া একটি কেন্দ্রও প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের গুয়াংফু শহরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। এখন সেটিও প্লাবিত। উদ্ধারকারীদের সাহায্য করার দায়িত্বে নিযুক্ত একজন প্রশাসক বলেছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তিনি শুনতে পান যে মাতাইআন ক্রিক ব্যারিয়ার হ্রদটির তীর ভেঙে গেছে। কোনো বিশেষ বন্যা সতর্কতা বা এ ব্যাপারে কোনো সম্প্রচারও ছিল না। কিছুক্ষণ পরই বন্যার পানি স্কুলে পৌঁছে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে রাস্তা থেকে ক্যাম্পাসে পানি ছড়িয়ে পড়ে। ৪০০ বর্গমিটারের খেলার মাঠটি ডুবে যায়। চেয়ার, টেবিল, রেফ্রিজারেটর এমনকি গাড়িও ভেসে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি সত্যিই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ২০১১ সালের জাপানের ভূমিকম্পের পর সুনামির টিভি রিপোর্টে আমরা যা দেখেছিলাম ঠিক তেমনই মনে হয়েছিল।
তিনি বলেন, কর্মকর্তারা হয়তো রাগাসার প্রভাবকে অবমূল্যায়ন করেছেন। দুই মাস আগে ভূমিধসের পর তৈরি হ্রদটি গত মাসে একটি টাইফুনের আঘাতেও তার তীর ভেঙে যায়নি। আমি যদি এখনো রাস্তায় থাকতাম, তাহলে আমি উঁচু স্থানে পৌঁছাতে পারতাম না। পানিতে অনেক জিনিস ভাসছিল। আমি আঘাত পেতে পারতাম, এমনকি বিদ্যুৎস্পর্শও হতে পারতাম।
তাইওয়ানে রাগাসার প্রভাবে হোয়ালিয়েন কাউন্টিতে একটি কৃত্রিম হ্রদের পানি উপচে যায়। হ্রদের পানি শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় ১৪ জনের মৃত্যু এবং ১২৪ জন নিখোঁজ হয়েছে, জানিয়েছে তাইওয়ানের দমকল পরিষেবা। মঙ্গলবার থেকে টাইফুনের প্রভাবে দ্বীপে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়।
হংকংয়ে কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়। উত্তাল ঢেউ শহরের পূর্ব ও দক্ষিণ তটরেখা তছনছ করেছে, কিছু রাস্তা ও ঘরবাড়িও ডুবে গেছে।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাইয়ের দিকে টাইফুনটি এগোচ্ছে, যা আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকার জন্য সতর্ক করেছে।
মন্তব্য করুন