মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিলেন। শনিবার তিনি জানিয়েছেন, ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরে ‘দেশীয় সন্ত্রাসীদের’ মোকাবিলায় সেনা পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর সিএনএন’র।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত পোর্টল্যান্ডকে রক্ষায় আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে সেনা পাঠাতে বলেছি।’ তিনি সতর্ক করে বলেন, প্রয়োজনে তিনি ‘পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ’ করার অনুমতিও দিয়েছেন।
তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়গুলো অ্যান্টিফা ও অন্যান্য ‘দেশীয় সন্ত্রাসীদের’ হামলার শিকার হচ্ছে। সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রক্ষণশীল কর্মী চার্লি কার্ককে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য ট্রাম্প আরও জোরালোভাবে ‘উগ্র বামপন্থিদের’ দায়ী করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, দেশের অস্থিরতা ও সহিংসতার জন্য এ গোষ্ঠীই মূলত দায়ী।
এর আগে সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প পোর্টল্যান্ডে বসবাসকে ‘নরকের মতো’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তখনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে এ শহরে ফেডারেল বাহিনী পাঠানো হবে। একইভাবে তিনি অপরাধ দমনে শিকাগো ও বাল্টিমোরে সেনা পাঠানোর হুমকিও দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের গ্রীষ্মে ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন। একই সঙ্গে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তার প্রশাসন সরাসরি দায়িত্ব নেয়।
এদিকে, টেনেসির মেমফিস শহরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের জন্য। শুক্রবার সেখানে রিপাবলিকান গভর্নর বিল লি জানান, শহরে অপরাধ দমনে অতিরিক্ত বাহিনীসহ নানা ধরনের সহায়তা পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন