

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযান না চালিয়ে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্তত আগামী দুই মাস ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, সামরিক বিকল্প এখনো পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়নি। তবে হোয়াইট হাউস বর্তমানে ভেনেজুয়েলার ওপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান ভরসা তেল রপ্তানি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটি তেল বিক্রি করতে গিয়ে বড় ছাড় দিতে হচ্ছে এবং জটিল পথে রপ্তানি করতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ব্যবহৃত বলে দাবি করা ‘শ্যাডো ফ্লিট’-এর কয়েকটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে এবং নতুন করে কিছু জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।
এর জবাবে ভেনেজুয়েলার পার্লামেন্ট একটি আইন পাস করেছে, যেখানে তেল পরিবহনে ‘অবরোধ ও জলদস্যুতা’কে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ভেনেজুয়েলা সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপকে অবৈধ এবং দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন