

আর মাত্র দুদিন। বিদায় নেবে ২০২৫ সাল। বিশ্ব ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকছে যুদ্ধ, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, জলবায়ু বিপর্যয় এবং মানবিক সংকটের বছর হিসেবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি করে। তার আরোপ করা বাড়তি শুল্ক প্রায় একশ দেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করে, কঠোর অভিবাসন নীতিতে বিপর্যস্ত হয় হাজারো পরিবার।
চার বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা থামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একাধিক কূটনৈতিক উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। একইভাবে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েলি হামলা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি; রক্তপাত চলতে থাকে।
মধ্যপ্রাচ্যে বছরজুড়ে উত্তেজনা অব্যাহত থাকে। বছরের মাঝামাঝি ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করে। দক্ষিণ এশিয়ায় কাশ্মীরে হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তান সীমিত সামরিক সংঘাতে জড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তা যুদ্ধবিরতিতে গড়ায়।
২০২৫ সালে বিশ্ব হারায় ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে। ভ্যাটিকানে তার শেষকৃত্যে বিশ্বনেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা। একই বছরের শুরুতেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগ উত্তর আমেরিকার রাজনীতিতে আলোড়ন তোলে। নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সরকার পতন এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ছিল ভয়াবহতা। মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতালির মাউন্ট এটনা এক দশক পর বড় অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় নিখোঁজ হয় বহু মানুষ। ফিলিপাইনে একের পর এক সুপারটাইফুনে শতাধিক প্রাণহানি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলে বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়ে যায়।
বছরের শেষদিকে হংকংয়ের আবাসিক বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়।
অস্থিরতার মাঝেও ছিল কিছু ইতিবাচক মুহূর্ত। নভেম্বরে মিশরে উদ্বোধন হয় বহুল প্রতীক্ষিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম। আকাশে দেখা মেলে সুপারমুন ও বিরল পূর্ণিমার। তথ্য ও ছবি : রয়টার্স
মন্তব্য করুন