কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আলোচিত ম্যাগনিটস্কি স্যাংশন কী, এর আওতায় কারা পড়বে?

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে র‌্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনার রেশ না কাটতেই বাংলাদেশে ম্যাগনিটস্কি স্টাইল স্যাংশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক সংসদ সদস্য (এমপি)।

গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টে দেওয়া এক বক্তব্যে এমপি আবিগালি বয়েড বাংলাদেশে ম্যাগনিটস্কি স্টাইল স্যাংশন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস দলের একজন এমপি। তার এমন দাবির পর দেশে ম্যাগনিটস্কি স্টাইল স্যাংশন নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম হয়েছে।

ম্যাগনিটস্কি স্টাইল স্যাংশন কী?

মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ম্যাগনিটস্কি স্টাইল স্যাংশন দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। এরই মধ্যে রাশিয়া, চীন ও ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।

মূলত, ২০০৯ সালে রাশিয়ায় কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে সের্গেই ম্যাগনিটস্কির নামে এক রুশ ট্যাক্স আইনজীবীর মৃত্যুর পর ২০১২ সালে ম্যাগনিটস্কি আইন পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এ আইনের আওতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বড় ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসন। এ নিষেধাজ্ঞায় পড়লে ওই ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করা হবে এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। যুত্তরাষ্ট্রের পর কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বেশ কয়েকটি দেশ একই ধরনের আইন পাস করে। অস্ট্রেলিয়ায় এই আইন পাস না হলেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ক্যানবেরা।

কে এই সের্গেই ম্যাগনিটস্কি?

সের্গেই ম্যাগনিটস্কি রাশিয়ার একজন ট্যাক্স আইনজীবী। ২০০৭ সালে রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর কর্মকর্তাদের ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুর্নীতি ফাঁস করে দেন তিনি। কিন্তু ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে কর ফাঁকির অভিযোগে এনে কারাগারে পাঠান। এরপর ২০০৯ সালে তিনি কারাগারেই মারা যান। এ ঘটনার পরপরই তাকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত রুশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২০১২ সালে ম্যাগনিটস্কি আইন পাস করে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবা প্রশাসন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাকিবের জন্য জাতীয় দলের দরজা এখনও খোলা

ভূমিকম্পের সুযোগে লুটপাট, ৫ জনকে পিটিয়ে হত্যা

পাবনায় বালুমহাল দখল নিতে ফের গুলি, আহত যুবক

শর্তসাপেক্ষে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমার বিবেচনা করবেন ট্রাইব্যুনাল

নারায়ণগঞ্জকে সবুজায়ন করতে এক লাখ গাছ রোপণ

খতিবকে কোপানো সেই বিল্লাল বললেন ‘ভুল করেছি’

আসছে কমেডি সিরিজ ‘বিবাহ অতঃপর’

জানাজায় প্রথমবার মুখ খুললেন হুমায়রার বাবা

যারা মব তৈরি করেছে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না : তারেক রহমান

শ্যালিকার সঙ্গে প্রেম, জামাইয়ের শিরশ্ছেদ করলেন শ্বশুর

১০

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা

১১

নারী ‍আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবিতে মহিলা পরিষদের সমাবেশ

১২

খারাপ প্রস্তাব তো এখনো পাই : বাঁধন

১৩

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাড়ে ৬০০ চিংড়ি ঘের

১৪

বিবেক জাগান

১৫

‘যারা অতিরিক্ত বিএনপি বিএনপি করে তারা দোসর ও সুবিধাভোগী’

১৬

জবি ছাত্রদলের আরেক নেতার পদত্যাগ

১৭

মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজালেন বাবা

১৮

ডেঙ্গু : ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৯১

১৯

টালিউডে পা রাখছেন নওশাবা

২০
X