সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে হামাসকে সমর্থনকারী অভিবাসীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেবেন। সেই সঙ্গে সমর্থনকারীদের গ্রেপ্তার ও নির্বাসন দেবেন।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) আইওয়াতে প্রচারে অংশ নিয়ে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঞ্চলে প্রচারে অংশগ্রহণকালে তিনি বলেন, হামাস অন্তত ১৩০০ ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে। আমি যদি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারি তাহলে এমন কাউকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দিব না- যারা ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে বিশ্বাস করে না। একই সঙ্গে বিদেশি ছাত্রদের ভিসা প্রত্যাহার করবেন যারা ইসরায়েল বিদ্বেষী।
এ সময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে হামাসকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করার পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি।
একই সঙ্গে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যদি প্রেসিডেন্ট হতে পারে সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত দেশগুলোর মানুষের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে তাঁর প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় তার প্রশাসন কয়েকটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছিলেন। তবে আদালত এ পদক্ষেপে বাধা দেন। পরবর্তীকালে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হয়ে ট্রাম্পের ওই নীতি বাতিল করে দেন।
এদিকে ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরেনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়। গত শনিবার (৭ অক্টোবর) অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে। এ হামলার পরপর হামাসকে নির্মূলের অঙ্গীকার করে গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাশাপাশি গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি অবরোধের অংশ হিসেবে সেখানে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এর ফলে চরম সংকটে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো।
টানা ১০ দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১০ হাজার ৮৫৯ জন।
মন্তব্য করুন