ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে নানামুখী চাপ দিচ্ছেন মুসলিম আমেরিকানরা। তবে তাদের দাবি অগ্রাহ্য করে গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হলেও ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে’ এমন অজুহাতে তেলআবিবকে সমর্থন দিয়ে চলেছে বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে বাইডেনের ওপর বেশ নাখোশ মুসলিম আমেরিকানরা। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটস হিসেবে পরিচিত ছয় রাজ্যের মুসলিম নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তারা আগামী নির্বাচনে বাইডেনকে সমর্থন দেবেন না। এমনকি এসব রাজ্যের পুরো মুসলিম সম্প্রদায়কে বাইডেনকে ভোট না দিতে উৎসাহিত করবেন। খবর রয়টার্সের।
ব্যাটলগ্রাউন্ড ছয়টি রাজ্য হলো মিনেসোটা, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও ফ্লোরিডা। মার্কিন রাজনীতিতে ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হলো সেখানে ডেমোক্র্যাটিক বা রিপাবলিকান যে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে মুসলিম ভোটারদের ভোটে ভর করেই এই ছয় রাজ্যে বাইডেন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে এবার মুসলিম ভোটাররা বেঁকে বসলে আগামী নির্বাচনে বিপাকে পড়তে পারেন তিনি।
বাইডেনের কাছে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি করেছিলেন মুসলিম আমেরিকানরা। তবে তা আদায় না হলে তারা ‘অ্যাব্যান্ডন বাইডেন’ নামে প্রচারণা শুরু করেন। প্রথমে মিনেসোটা রাজ্যের মুসলিম আমেরিকানরা শুরু করলেও পরে তা মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, পেনসিলভানিয়া ও ফ্লোরিডায় ছড়িয়ে পড়ে।
মিশিগানের ডিয়ারবর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেনের বিকল্প নিয়ে জানতে চাইলে মিনিসোটার কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) শাখার পরিচালক জয়লানি হোসেন বলেন, আমাদের কাছে দুটি বিকল্প নেই। আমাদের অনেক বিকল্প আছে। আমরা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সমর্থন করছি না। মুসলিম সম্প্রদায় সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে ভোট দেবেন।
আগামী বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নভেম্বর এই ভোটের মাধ্যমে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন আমেরিকানরা। এটা প্রায় নিশ্চিত যে এবারের নির্বাচনেও বাইডেন-ট্রাম্পের দ্বৈরথ দেখবে বিশ্ব। এবার দেখার বিষয় আগামী নির্বাচনে মুসলিম ভোটররা বাইডেনকে গণহারে বর্জন করেন কি না।
মন্তব্য করুন