যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ডিসি শহরে নিজেদের একটি ঐতিহাসিক দূতাবাস ৭ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছে পাকিস্তান। আবদুল হাফিজ খান নামের একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান কিনে নিয়েছে। বিষয়টিতে অনুমোদন দেয় ফেডারেল মন্ত্রিসভা।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তর করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। খান তার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ফেডারেল মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এর আগে, প্রায় দুই দশক ধরে ওয়াশিংটন ডিসির ডাউনটাউনের বাসিন্দা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ওই এলাকার সাবেক পাকিস্তানি কনস্যুলেটের অবস্থা সম্পর্কে একাধিকবার অভিযোগ করেছিলেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আর স্ট্রিটের কোণে বড় বিল্ডিংটি স্থানীয় মানুষের অসুবিধার কারণ হয়ে উঠেছিল।
২০১০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছিলেন এই ভবন এবং আরও একটি ভবন মেরামত করার জন্য যেখানে দূতাবাস ছিল।
প্রসঙ্গত, এই ঋণের কিছু অংশ মূল ভবন সংস্কার কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল, কিন্তু অন্য ভবনটি আগের মতোই পড়ে থাকে। মূল ভবনও খালি পড়ে আছে, যদিও এটি মেরামত করা হয়েছিল এবং এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছিল এর পেছনে।
উল্লেখ্য, বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
চীনা অর্থে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর কিস্তির টাকা বহুদিন ধরে পরিশোধ না করায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে চীন। যার কারণে গোটা পাকিস্তান ভয়াবহ লোডশেডিংসহ প্রায়ই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে। নাটকীয়ভাবে দাম বেড়ে ১ ডলার এখন ২৭৭ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
দেশটির বার্ষিক রপ্তানি আয় এখনো ২৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়ে গেছে অথচ আমদানি ব্যয় ৮০ থেকে ৯০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিবছর।
বুধবার (১২ জুলাই) বৈশ্বিক সংস্থাটি পাকিস্তানের জন্য তিন বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে। আইএমএফ শিগগিরই পাকিস্তানকে প্রথম ধাপে ঋণের প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন বা ১২০ কোটি ডলার দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন