অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন কিছু ব্যাংক কর্মকর্তা। কর্মক্ষেত্রে তারা কাজ না করেও অফিসকে বুঝিয়েছেন তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
রিমোর্ট অফিস হওয়ায় তারা সব সময় এমনভাবে কম্পিউটার সচল রাখতেন যেন অফিস বুঝে নেয় তারা কাজের মধ্যেই আছেন। এভাবে মাসের পর মাস কোনো কাজ না করেই মোটা অংকের বেতন তুলে নিয়েছেন।
অবশেষে প্রযুক্তির জালে ধরে পড়েছেন তারা। হারিয়েছেন চাকরি।
প্রযুক্তির এই যুগেও অফিস না করে বেতন তুলে নেওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, তারা সবাই হোম অফিস করতেন। মূলত করোনার কারণে এই কার্যক্রম চলে।
তাদের পর্যবেক্ষণ করার জন্য কিছু কোম্পানি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টুলস ব্যবহার করেছে। এই টুলসের মাধ্যমে কর্মীদের চোখের নড়াচড়া এবং কোন কোন সাইটে প্রবেশ করেছে তা পর্যবেক্ষণসহ স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ওয়েলস ফার্গ তাদের ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফিনান্সিয়াল ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। এরই মধ্যে তাদের একাধিক কর্মীকে প্রাথমিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের জালিয়াতির বিষয়টি খুঁজে বের করেছে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন আইন জারি হয়েছে। এতে বলা হয়, যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাড়িতে বসে কাজ করছেন তাদের প্রতি তিন বছর পর পর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরতে হবে।
ওয়েলস ফার্গের এক নারী মুখপাত্র জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ মান ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ফলে কোনো অনৈতিক পন্থাকে তারা প্রশ্রয় দেবে না।
মন্তব্য করুন