অর্থনীতির নানা সংকটে বছরজুড়ে দেশের পুঁজিবাজার ছিল মন্দার কবলে। তবে বাজার মূলধন কিছুটা বেড়েছে। এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন কমেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত দীর্ঘমেয়াদি বিধিনিষেধে বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে বাজার পরিস্থিতি প্রাণ ফিরে পাবে বলেও মনে করছেন তারা।
একনজরে ডিএসই ২০২৩
টার্নওভার বা লেনদেন: ২০২৩ সালে টার্নওভার কমেছে। এ বছর শেষে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। এ সময় দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৫৭৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এ সময় গড় লেনদেন ছিল ৯৬০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে ব্লক মার্কেটে মোট লেনদেন হয় ১৪ হাজার ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। ২০২২ সালে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছিল ১৪ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে বাজারে লেনদেন কমেছে।
এসএমই মার্কেটে লেনদেন: এসএমই মার্কেটে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৪৯ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা। বছরের ব্যবধানে এসএমই মার্কেটেও লেনদেন কমেছে।
মোবাইল লেনদেন: মোবাইল লেনদেন হয়েছে ১৬ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ২০২২ সালে লেনদেন হয়েছিল ৩০ হাজার ৭৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৭০ শতাংশ। বছরের ব্যবধানে মোবাইল লেনদেনও কমেছে।
বাজার মূলধন: বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮০৮ বিলিয়ন টাকা। আগের বছর বাজার মূলধন ছিল ৭ হাজার ৬০৯ বিলিয়ন টাকা।
জিডিপি অনুপাতে মূলধন: জিডিপি অনুপাতে ডিএসইতে মূলধন কমেছে। বছরের ব্যবধানে দেশের মোট জিডিপির বিপরীতে পুঁজিবাজারের মূলধন অনুপাত কমেছে ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ পয়েন্ট। বছর শেষে জিডিপির বিপরীতে পুঁজিবাজারের মূলধন দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০২২ সালে যা ছিল ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বছর শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৪৬, ডিএসই৩০ সূচক ২ হাজার ৯৩ ও ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১ হাজার ৩৬৪ পয়েন্টে। আগের বছর ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২০৬, ডিএসই৩০ সূচক ২ হাজার ১৯৫ এবং ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে। বছরের ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৯ দশমিক ৬৯ এবং শরিয়াহ সূচক ৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়েছে। ডিএসই৩০ সূচক ১০১ পয়েন্ট কমেছে।