ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনার দত্তপুকুরে একটি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।
বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, আশপাশের বাড়িগুলোর ছাদ ও দেয়াল উড়ে গেছে। এ ছাড়া কারখানার পাশের বেশ কিছু দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের সময় কারখানার ভেতরে বাজি তৈরি করছিলেন শ্রমিকরা। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে বেশ কয়েকজনের দেহ। এমনকি টালির ছাদের ওপর পড়ে থাকতে দেখা গেছে মরদেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতের উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছাতেই স্থানীয়রা তাদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। তারা স্লোগান দিতে শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এবং স্থানীয় নেতাদের মদদেই এখানে বেআইনি বাজি কারখানা চলত। প্রশাসন ও শাসক দলের নেতাদের বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা কয়েকজন রাস্তার ধারে বসেছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখি আশপাশের বাড়িঘর-দোকানপাট ভেঙেচুরে গেছে। সে সময় চারদিক ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, বাজি কারখানার পাশে থাকা একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে ওই পরিবারের পাঁচজন আহত হন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকার আরও কয়েকটি বাড়িতে বেআইনিভাবে চলছে বাজি তৈরির কাজ। সেগুলো দ্রুত বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ও দত্তপুকুর এলাকার বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত বা আটজন মারা গেছেন এবং ছয়জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জানিয়েছেন। যে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে আতশবাজি মজুত করা হয়েছিল। এখানে আতশবাজি তৈরি করা হতো না। এর প্রধান উৎপাদন কেন্দ্র ছিল নীলগঞ্জের নারায়ণপুর এলাকায়, যা এখান থেকে অনেক দূরে। পুলিশ নারায়ণপুরের সব আতশবাজির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।
মন্তব্য করুন