ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তানকে হুমকি দেওয়ার পর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামাবাদের নেতারা। সম্প্রতি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সীমান্তে কোনোরকম দুঃসাহস দেখালে তার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের ইতিহাস ও ভূগোল বদলে যেতে পারে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে দেশটির সেনাবাহিনীর চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, পাকিস্তানের যে কোনো ধরনের পদক্ষেপের জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী আর সংযম দেখাবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলছে, ভবিষ্যৎ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনবে। আর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এবার ভারতকে তাদের যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচেই কবর দেওয়া হবে। পাল্টাপাল্টি এমন হুমকিতে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ছে।
গত বৃহস্পতিবার গুজরাটের কচ্ছে সামরিক ঘাঁটিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তান স্যার ক্রিক সংলগ্ন অঞ্চলে সামরিক অবকাঠামো তৈরির চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেসব সীমান্ত নিয়ে বিরোধ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম স্যার ক্রিক; যা পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে ভারতের গুজরাট রাজ্য থেকে পৃথক করেছে। এরপর শুক্রবার দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, মানচিত্রে নিজেদের ভৌগোলিক অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে পাকিস্তানকে তাদের রাষ্ট্রের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় নেতাদের এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পাকিস্তান। শনিবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসা বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও যুদ্ধংদেহী মন্তব্যে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ভবিষ্যতে সংঘাত বাধলে তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এবার আমরা ভারতের তথাকথিত ভূগোলগত নিরাপত্তার ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দেব।’ এর পরদিন গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ‘এবার ভারতকে তাদেরই যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষের নিচে কবর দেওয়া হবে।’ আসিফ আরও বলেন, ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য তাদের ব্যর্থতা ও চাপের প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে গত মে মাসে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়। পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় থামে সেই যুদ্ধ।
মন্তব্য করুন