বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গাজায় নতুন আতঙ্ক অবিস্ফোরিত বোমা

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখন ভিন্ন এক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া অবিস্ফোরিত বোমার আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। টানা দুই বছরের ইসরায়েলি বোমা হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষ ও ত্রাণকর্মীরা ফেরায় এ হুমকি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।

এখন এসব বোমার বিস্ফোরণে ফিলিস্তিনি শিশুরাও আহত হচ্ছে। অঞ্চলটিতে ২০ হাজার অবিস্ফোরিত ডিভাইস থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বোমায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর নিজ এলাকায় ফিরে এসেছেন এক ফিলিস্তিনি পরিবার। তারা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, ঠিক তার কাছে একটি অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান খুঁজে পেয়েছেন। আবাসিক এলাকায় তার মতো অনেকেই ফিরে এসে এমন ধাতব জট পাকানো ও বিপজ্জনক অস্ত্রও খুঁজে পেয়েছেন।

বসতি স্থাপনের কোনো জায়গা না থাকায় এবং গাজার বিশাল অংশ এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দখলে থাকায় আইমান কাদোরাহ তার পরিবারের জন্য তাঁবু টানিয়েছেন একটি বিশাল সামরিক যন্ত্রের ওপর, যা স্থানীয়ভাবে ‘বিস্ফোরক রোবট’ নামে পরিচিত, যা পুরো এলাকার ব্লকগুলো সমতল করার জন্য ব্যবহৃত শক্তিশালী বোমা বহন করে। ইসরায়েল এমন দূর থেকে চালিত বিস্ফোরক রোবটগুলো বড় বড় ভবন গুঁড়িয়ে দিতে ব্যবহার করেছিল।

গাজায় অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের মারাত্মক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিস (ইউএনএমএএস)। দখলকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইউএনএমএএসের প্রধান লুক ডেভিড আর্ভিং বলেন, মানুষ ও মানবিক সহায়তাকর্মীরা যখন এসব এলাকায় চলাচল শুরু করেছে, তখন বিস্ফোরণের ঝুঁকি ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। অন্য সংঘাতের মতোই গাজাতে যুদ্ধ শেষ হলেও এসব বোমা সাধারণ মানুষকে হত্যা ও পঙ্গু করে যাচ্ছে। আর্ভিং আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির ফলে আমরা যত বেশি এলাকায় প্রবেশ করতে পারছি ততই আরও বিস্ফোরক পাওয়া যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির পর গত দুই সপ্তাহে অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণে বেশ কিছু শিশু আহত হয়েছে, যার মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। এমন তথ্য দিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি এমন শত শত ঘটনার একটি উদাহরণ যেখানে শিশু ও সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে বা আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে।

ইউএনএমএএসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ৩২৮টি ঘটনায় মানুষ অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণের কারণে নিহত বা আহত হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

এর আগেও খুলে গিয়েছিল মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড

১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্মেলনে বিজয়ী ব্র্যাকইউ, ইউল্যাব ও এসএমইউসিটি

জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ : আখতার

মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহত পথচারীর পরিচয় মিলল

সুন্দরবনের রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান আটক

এক সেতুর অভাবে দুর্ভোগে তিন উপজেলার মানুষ

যাত্রীদের উদ্দেশে মেট্রোরেলের বার্তা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবিতে পে-কমিশনে ইউট্যাবের স্মারকলিপি

ক্যানসার আক্রান্ত জুলাই যোদ্ধা, চাইলেন দোয়া

ট্রাম্পের এশিয়া সফর শুরু

১০

জামায়াতের এমপি প্রার্থীর বাসায় ককটেল নিক্ষেপ, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

১১

কফির সঙ্গে যা মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন কমবে

১২

হাডুডু খেলার অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা, ছাত্রদল নেতাসহ আহত ১০

১৩

রাজধানীতে ট্রেনে মিলল বিপুল অস্ত্র-গুলি

১৪

নারীদের জন্য জরুরি আয়রন সমৃদ্ধ ৫ খাবার

১৫

১০ জন নিয়েই বিশ্বকাপের রানার্সআপদের হারিয়ে দিল ব্রাজিল

১৬

ফার্মগেটে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পথচারী নিহত

১৭

ডিজিকে নিয়ে মনগড়া তথ্য, ব্যাখ্যা দিল বিজিবি

১৮

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিস্টের জন্ম হবে না : ড্যানী

১৯

নতুন বন্যপ্রাণী আইনে জামিনের সুযোগ থাকছে না : পরিবেশ উপদেষ্টা 

২০
X