

নতুন আইনে বন্যপ্রাণী হত্যার অপরাধের মামলায় জামিনের সুযোগ থাকছে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বন ভবনে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস ২০২৫ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. জাহাঙ্গীর আলম মিঠাপানির জরিপ ২০২৪-২৫ এর ফলাফলও উপস্থাপন করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন্যপ্রাণী হত্যা মামলায় জামিনের সুযোগ থাকছে না নতুন আইনে। মেছো বিড়ালকে শুধু শুধুই মেছোবাঘ বলি, অযথাই ইনোসেন্ট এ প্রাণীকে মেরে ফেলি। এমনকি ভিডিও রেকর্ড করে নেটে ছেড়ে দেই। আমাদের আচরণগত পরিবর্তন আনতে হবে। একটির অস্তিত্বের সঙ্গে অন্যটির অস্তিত্ব সম্পর্কযুক্ত। মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন না এলে প্রাণীগুলোকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার জন্য নেটওয়ার্ক অব ভলানটিয়ার্স লাগবে। যেসব সংস্থা বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করে, তাদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্ক করতে চাচ্ছি। চলে যাওয়ার আগে নেটওয়ার্ক ফর ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড ফরেস্ট করে যেতে চাই। বন্যপ্রাণী ইউনিট খুলতে পারলে বন বিভাগ নিজেরা না করে অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনটি ২০১২ সালে করা। সেখানে বলা হয়েছে, ৩৬ ধারার অধীন অপরাধটি অজামিনযোগ্য। বাকি ধারার অপরাধ আমল অযোগ্য, জামিনযোগ্য ও ক্ষতিপূরণ সাপেক্ষে আপসযোগ্য। ৩৬ ধারায় বাঘ ও হাতি হত্যার অপরাধে দণ্ড তুলে ধরা হয়েছে। ৩৭ ধারায় তিমি বা ডলফিন হত্যার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন