স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের আইনগুলো সংশোধনের পর সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় নির্বাচিত সব চেয়ারম্যান, মেয়র ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করেছে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে তাদের অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি আলাদাভাবে প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনও হয়।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব পদের প্রায় সবকয়টিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ছিলেন। তারা ভোটে নির্বাচিত হলেও আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাপক রদবদল চলছে প্রশাসনে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে শনিবার আইনগুলো সংশোধন করা হয়। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ আইন সংশোধন হয়। আইন সংশোধনের এক দিন পরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি হয় স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে।
১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণের পর প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অপসারিত মেয়ররা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রেজাউল করিম চৌধুরী, খুলনা সিটি করপোরেশনের তালুকদার আবদুল খালেক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, রংপুর সিটি করপোরেশনের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সিলেট সিটি করপোরেশনের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ইকরামুল হক টিটু, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তাহসিন বাহার সূচনা, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জায়েদা খাতুন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
নির্বাচিত মেয়রদের অপসারণে সংশোধিত স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ২৫ (ক) ধারা প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতা শীর্ষক অধ্যাদেশের ১৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে সরকার অত্যাবশক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।’
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মহ. শের আলী, আর ঢাকা উত্তর সিটিতে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মাহমুদুল হাসান। আর চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কমিশনারদের দেওয়া হয়েছে ওইসব সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালককে (অতিরিক্ত সচিব) কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসকরা সিটি করপোরেশনের মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব পালন করবেন। এসব কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন, এ জন্য তারা বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব ভাতা পাবেন। এ ছাড়া আর আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত এ জনপ্রতিনিধি বলেন, এটা তো সরকারের সিদ্ধান্ত, আমার বলার কিছু নাই। সরকারের সিদ্ধান্তকে ওয়েলকাম জানাই।
অপসারণের পর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দল-মত নির্বিশেষে নগরবাসীর সেবা করেছি। সিটি মেয়র হিসেবে কখনো কাউকে দলীয় চোখে দেখিনি, নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছি। সবসময় অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে প্রতিবাদ করেছি। আগামীতেও আমি একইভাবে নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকব।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে সব জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে যেসব জেলায় বিভাগীয় শহর পড়েছে, সেখানে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক)। বাকি ৫৩ জেলায় দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসকরা।
নাটোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খানের মৃত্যুতে তার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। এক প্রজ্ঞাপনে ৬০টি জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান অপসারণের কথা জানানো হয়। জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ১০ (খ) ধারা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলাতেই সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ সরকার। এর আগে ৪৯৩ জন চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। আর খুলনার কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা মারা যাওয়াই শূন্য ঘোষণা করা হয় তার পদটি। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণে উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ১৩ (ঘ) ধারা প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
৪৯৪ উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করেছে সরকার। গতকাল সোমবার ৯৮৮ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ১৩ঘ প্রয়োগ করে নিম্নবর্ণিত সব ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদকে উপজেলা পরিষদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণের কথা বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
দেশের ৩৩০ পৌরসভাতেই প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সহকারী কমিশনার (ভূমি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন পদবির সরকারি কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এর আগে ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করা হয়। বাকি সাত পৌরসভায় আগে থেকে প্রশাসক ছিল, যাদেরকে সরিয়ে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রজ্ঞাপনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। নির্বাচিত মেয়রদের অপসারণে সংশোধিত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ৩২ (ক) ধারা প্রয়োগ করার কথা বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় পর এখন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে শীর্ষ পদে দায়িত্বরতরা অপসারিত হওয়ায় সেখানে দলীয় কেউ আর রইল না। সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় মেয়র এবং চেয়ারম্যানরা অপসারিত হলেও সদস্য ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়নি। তাদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের এবং সরকার পতনের পর দলটির প্রায় সব নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের আইনে এই দফায় কোনো সংশোধন আনা হয়নি। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এখনো নিজ পদে বহাল রয়েছেন। দেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা সাড়ে চার হাজারেরও বেশি। এসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা দু-একজন বাদে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ : স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে দেশে কতিপয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। যার ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। উদ্ভূত অসুবিধাগুলো দূরীকরণের জন্য অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাজ পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ এবং ১০২ অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন।
প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অথবা যে কোনো জটিলতা পরিলক্ষিত হলে বর্ণিত আইনের ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগ করে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে তার অধীনস্থ কর্মকর্তা যেমন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে সচল রেখে জনসেবা অব্যাহত রাখবেন।
ইউপি চেয়ারম্যানদের এখনই অপসারণ নয়: ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যানদের এখনই অপসারণ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এখন হাত দিচ্ছি না। যাচাই-বাছাই করে দেখা যাক সেখানে কার্যক্রম কী রকম আছে, যদি পরবর্তীকালে প্রয়োজন হয় বা প্রয়োজনের তাগিদে কোনো পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি নেওয়া হবে। আর জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ অন্য যে কাগুলো দৈনন্দিন করতে হয় সেগুলো যেন চালু থাকে এবং গ্রামীণ পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রম যেন চলমান থাকে সেজন্য প্রথম দিকেই স্থানীয় যারা সরকারি কর্মচারী আছেন, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সরকার রুটিন সরকার নয়। একটা বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-জনতা, সেনা সবার সম্মিলিতভাবে দেশের প্রতিটি জায়গার মানুষের আন্দোলনের ফলে এই সরকার এসেছে। আমরা তাদেরই প্রতিনিধি। ছাত্র-জনতা যে দাবি-দাওয়া কার্যকরের জন্য আমাদের ওপর বিশ্বাস রেখেছে সেটির প্রতিনিধি হিসেবে আমরা কাজ করছি।
সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেটি এখন তাদের ব্যাপার। মূল হচ্ছে মেয়র-চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবে।
কেন তাদের অপসারণ করা হলো—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এগুলো কিন্তু সংসদের পর প্রতিনিধি। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত তারা প্রতিনিধিত্ব করে। ছাত্র ও জনতা যে কারণে আন্দোলন করেছে সেটির একটি ধারাবাহিক প্রকাশ এটি। উপস্থিত অনুপস্থিত বড় ফ্যাক্টর না। দু-চারজন তো উপস্থিত আছেন। এসব অপসারণ আন্দোলনের প্রত্যাশার প্রতিফলন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে যাব। এটি মার মার কাট কাটের কোনো ব্যাপার না। এটি হলো পুরো লোকাল গভর্নমেন্টকে পরিচ্ছন্ন করার একটা প্রচেষ্টা। যেটি প্রত্যেকের প্রত্যাশা। আন্দোলন ছিল সিস্টেমের বিরুদ্ধে। সে সিস্টেম গ্রাম পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে প্রশাসকরা কতদিন দায়িত্ব পালন করবেন।