চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা—দুটিই গত ১৬ বছরে সবচেয়ে কম। শুধু গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গত বছর ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন। কমেছে ৪৩ হাজার ৯৭ জন। ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে যে উন্নতির ধারা দেখা যাচ্ছিল, এবার তাতে বড় ধরনের ছেদ পড়েছে। শুধু পাসের হার ও জিপিএ ৫ নয়, ফলের সব সূচকেই পিছিয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
এই পতনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে এবার বেশি কড়াকড়ি ছিল। কিছু ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এসব পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে চূড়ান্ত ফলে। এ ছাড়া অধিকাংশ বোর্ডেই গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী খারাপ করেছে। বরিশাল বোর্ডের ফল ছিল সবচেয়ে খারাপের মধ্যে।
তবে এসব নেতিবাচক প্রবণতার মধ্যেও মেয়েরা কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে। এবার ছাত্রীরা ছেলেদের তুলনায় ভালো করেছে। পাসের হার ও জিপিএ ৫, দুই ক্ষেত্রেই মেয়েরা ছেলেদের পেছনে ফেলে দিয়েছে।
গতকাল দুপুর ২টার পর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফল প্রকাশ করে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ।
পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে মোট ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে, অংশ নিয়েছে ১৮ হাজার ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গতবারের তুলনায় শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৮৩টি।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১০ লাখ ৬ হাজার ৫৫৪ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৪ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭২ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৫ জন। পাসের হার ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এবার দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৬ জন, যেখানে গতবার ছিল ১৪ হাজার ২০৬ জন। অর্থাৎ দাখিলেও পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটিই কমেছে।
এসএসসি ও দাখিলের ভোকেশনাল শাখায় পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৫ হাজার ৭৫৭ জন। পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, যা গতবার ছিল ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তবে জিপিএ ৫ বেড়েছে। এবার পেয়েছে ৪ হাজার ৯৪৮ জন, যেখানে গতবার ছিল ৪ হাজার ৭৮ জন।
অতীতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতি বছর পাসের হার ও জিপিএ ৫ বাড়ার প্রবণতা নিয়ে শিক্ষাবিদেরা নানা সময়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। অনেক সময় অভিযোগ উঠেছিল, শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হতো নম্বর বাড়িয়ে দিতে। সেসব অভিযোগ সত্ত্বেও সরকার ব্যবস্থা নেয়নি; কিন্তু এবারের ফলাফল সেই ধারার বাইরে, যেখানে ফলাফলের সব কিছুই হয়েছে কঠোর মূল্যায়নের ভিত্তিতে।
গত ১৬ বছরে সবচেয়ে কম পাসের হার: ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ বছর গড় পাসের হার ৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। করোনাকালে অনুষ্ঠিত ২০২০ সালের পরীক্ষায় শতভাগ পাসের হার থাকলেও (সেই বছর পরীক্ষা হয়নি, মূল্যায়ন ছিল অন্যভাবে), সেটি বাদ দিলে বাকি সব বছরের তুলনায় এ বছরের পাসের হার সবচেয়ে নিচে। ২০১০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে কেবল ২০১৮ সালে পাসের হার ৭০ শতাংশের নিচে ছিল। বাকি বছরগুলোতে গড় পাসের হার ছিল ৮০ শতাংশের ওপরে। এমনকি ২০১৪ ও ২০২১ সালে পাসের হার ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার বিশ্লেষণ: এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাস করেছে রাজশাহী বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এরপর যশোর বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৭৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭২ দশমিক ০৭ শতাংশ, সিলেটে ৬৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মাদ্রাসায় ৬৮ দশমিক ০৯ শতাংশ, ঢাকায় ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৬৭ দশমিক ০৩ শতাংশ, কুমিল্লায় ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ এবং বরিশালে ৫৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ পাস করেছে।
জিপিএ ৫ শীর্ষে ঢাকা, সর্বনিম্ন বরিশাল: জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে ৩৭ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম জিপিএ ৫ পেয়েছে বরিশাল বোর্ড, যেখানে মাত্র ৩ হাজার ১১৪ জন এই সর্বোচ্চ গ্রেড অর্জন করেছে। অন্যান্য বোর্ডে জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যা হলো—রাজশাহী: ২২ হাজার ৩২৭, যশোর: ১৫ হাজার ৪১০, দিনাজপুর: ১৫ হাজার ৬২, চট্টগ্রাম: ১১ হাজার ৮৪৩, কুমিল্লা: ৯ হাজার ৯০২, ময়মনসিংহ: ৬ হাজার ৬৭৮, সিলেট: ৩ হাজার ৬১০, মাদ্রাসা বোর্ড: ৯ হাজার ৬৬, কারিগরি বোর্ড: ৪ হাজার ৯৪৮।
১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে কেউই পাস করেনি: এ বছর ১৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৫১টি। অর্থাৎ শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার বেড়েছে ৮৩টি। তবে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৮৪টি। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে পাস করেছে ৩৭৩ জন। বিদেশি কেন্দ্রগুলোতে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মেয়েদের সাফল্য ছেলেদের ছাড়িয়ে গেছে: গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ভালো ফল করেছে। পাসের হার ও জিপিএ ৫—দুই ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে। মেয়েদের গড় পাসের হার ৭০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ছেলেদের ৬৫ দশমিক ১১ শতাংশ। অর্থাৎ, ছাত্রীদের পাসের হার ছেলেদের চেয়ে ৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রী ৭৩ হাজার ৬১৬ জন এবং ছাত্র ৬৫ হাজার ৪১৬ জন। ফলে ছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছাত্রদের চেয়ে ৮ হাজার ২০০ জন বেশি। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মেয়েরা সবদিক থেকেই এগিয়ে রয়েছে।
ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে ছয়টি বড় কারণ: চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খারাপ ফলাফলের পেছনে অন্তত ছয়টি বড় কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে খাতা মূল্যায়নে 'সহানুভূতির নম্বর' বা অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার প্রথা বাতিল, অপ্রাসঙ্গিক উত্তরের জন্য নম্বর না দেওয়া, ইংরেজি ও গণিতে শিক্ষার্থীদের দুর্বল ফল, বরিশাল বোর্ডে পাসের হার অর্ধেকে নেমে আসা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি এবং মানসম্মত পাঠদানের অভাব। এ ছাড়া, করোনাকালে না পড়ে পাস করার যে অভ্যাস গড়ে উঠেছিল, তা থেকেও শিক্ষার্থীরা আর পড়াশোনায় মনোযোগী হয়নি। ফলে এবার চালু হওয়া কড়াকড়ির সঙ্গে তারা খাপ খাওয়াতে পারেনি।
বিষয়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব বিভাগের পরীক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, পৌরনীতি ও হিসাববিজ্ঞানের মতো আটটি সাধারণ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। এসব বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছে গণিত ও ইংরেজিতে। অন্য সব বিষয়ে যেখানে গড়ে পাসের হার ৯০ শতাংশের বেশি, সেখানে গণিতে তা নেমে এসেছে ৭০ শতাংশের ঘরে। ইংরেজির ফল আরও হতাশাজনক—তিনটি বোর্ডে পাসের হার ৯০ শতাংশ হলেও বাকি বোর্ডগুলোতে তা ৮০ শতাংশের মধ্যে। বিশেষ করে বরিশাল বোর্ডে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এখানে ইংরেজিতে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গণিতে মাত্র ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ, এই দুটি বিষয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
সিলেট বোর্ডে পদার্থবিজ্ঞানে পাস করেছে ৮৩ দশমিক ০৬ শতাংশ। এই বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের ফল ছিল দুর্বল। মাদ্রাসার গণিতে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় কম।
ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয় এখনো বিরাজমান। পাশাপাশি এসব বিষয়ে শিক্ষকের সংকট, মানসম্পন্ন পাঠদানের অভাব এবং যথেষ্ট অনুশীলনের সুযোগ না থাকায় ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষাবোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বরিশাল বোর্ডে ইংরেজি ও গণিতে খারাপ ফলই সামগ্রিক পাসের হার কমিয়ে দিয়েছে। ইংরেজিতে পাসের হার যেখানে ৬৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, সেখানে গণিতে তা আরও কম—মাত্র ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। দুটি বিষয়েই এক-তৃতীয়াংশের মতো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার প্রকৃত মান যাচাই ও বাস্তবসম্মত মূল্যায়নের জন্য এবার খাতা মূল্যায়নে কিছু কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে ২০১০ সালের পর থেকে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির প্রচলনের সঙ্গে সঙ্গে খাতা মূল্যায়নে উদারতা বাড়তে থাকে। তখন মৌখিকভাবে পরীক্ষকদের বলা হতো—খাতায় কিছু লেখা থাকলেই নম্বর দিতে। এতে পাসের হার ও জিপিএ ৫ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এবার সে ধারা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ধন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা জানতেই এবারে কিছু কৌশল গ্রহণ করা হয়। সারাদেশে ভেন্যু কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্র পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কাউকে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়নি। কেউ যদি ৭৯ নম্বর পেয়ে থাকে, তবে তাকে বাড়িয়ে ৮০ দেওয়া হয়নি। খাতা মূল্যায়নে কোনো পরীক্ষককে নম্বর বাড়িয়ে দিতে বলা হয়নি। অতিরিক্ত নম্বর বা সহানুভূতির নম্বর দেওয়ার সুযোগও ছিল না। এই কারণে ফলাফল প্রকৃত এবং সত্য হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষা হলগুলোতে কোনো অনিয়ম হয়নি। কোনো পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পেয়েছে বলে বা লিখে নম্বর পায়নি। এইবারের ফলাফলে শিক্ষার প্রকৃত চিত্রই উঠে এসেছে।’
অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’-এর সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য পূর্ববর্তী সরকার পরীক্ষার খাতায় বাড়তি নম্বর দিয়ে পাসের হার ও জিপিএ ৫ বাড়িয়ে দেখিয়েছে। এবারের ফল সেই ভুয়া চিত্রের ভেতরকার বাস্তবতা প্রকাশ করেছে। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ঠিকভাবে পাঠদান না করে দলীয় রাজনীতি ও ব্যক্তিস্বার্থে শিক্ষাকে ব্যবসায় রূপ দিয়েছেন। কোচিং বাণিজ্য ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এর দায় এড়াতে পারে না শিক্ষক, শিক্ষা বোর্ড কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়—কেউই।’
মন্তব্য করুন