ইরানের কাছে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার মতো ইউরেনিয়াম অক্ষত রয়েছে বলে আশঙ্কা করেছে ইসরায়েল। মার্কিন হামলার পরও এসব সুরক্ষিত করেছে ইরান।
শুক্রবার (১১ জুলাই) নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে ইরানে মার্কিন বোমা হামলার পরও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম মাত্রার ইউরেনিয়াম রক্ষা করেছে ইরান। দেশটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরানে এ হামলার পর তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসব স্থাপনায় ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টিং বোমা ফেলা হয়। তবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব কেন্দ্রে সংরক্ষিত ইউরেনিয়ামের কিছু অংশ এখনো অবশিষ্ট থাকতে পারে, যা এখন ইরানের বিজ্ঞানীদের নাগালে রয়েছে।
ইরানে হামলার পর পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেন, আমাদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে। তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
ইসরায়েলি বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, ১৮ হাজার সেন্ট্রিফিউজ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু ইউরেনিয়াম কাস্কে সংরক্ষিত ছিল। ফলে এর বিশাল অংশ হয়তো নিরাপদ রয়ে গেছে।
ইরানের ওই কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি ওই সাইটে ঢোকার চেষ্টা করে তা ধরা পড়বে। এতে করে আবারও ইরান হামলার মুখে পড়বে। এর আগে পেন্টাগন জানায়, মার্কিন সামরিক হামলা ‘গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি’ হলেও তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে বড় ধাক্কা দেওয়া, কিন্তু তা গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে হেগসেথ জানান, ইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনাটি ‘গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তবে এটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। তিনি বলেন, আমরা ইরানের পরমাণু কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য ব্যাঘাত ঘটিয়েছি, তবে তা নির্মূল করতে পারিনি।
মন্তব্য করুন