ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ (সিআরপিসি) দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিভিন্ন মামলায় উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে এ সংশোধন করা হয়েছে। গত ১০ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর অধিকতর সংশোধনীর গেজেট জারি করা হয়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার ক্ষমতা বৃদ্ধি, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির রক্ষাকবচ নির্ধারণ, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারে সতর্কতা অবলম্বন, আসামিদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতির বিধান, সাক্ষীদের সুরক্ষার বিধানসহ বেশ কিছু বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এসব বিধান যুক্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় যুগান্তকারী কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
‘ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার ক্ষমতা বৃদ্ধি’
বর্তমানে গ্রাম আদালতের জরিমানা করার ক্ষমতা ৩ লাখ টাকা। অথচ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার এখতিয়ার ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা। এ-সংক্রান্ত ৩২ ধারা সংশোধনী করে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার এখতিয়ার বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের জরিমানার ক্ষমতা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ, দ্বিতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ এবং তৃতীয় শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষেত্রে ২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে।
‘গ্রেপ্তার ব্যক্তির রক্ষাকবচ’: গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সুরক্ষায় ঐতিহাসিক ব্লাস্ট বনাম বাংলাদেশ মামলায় আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগের পর্যবেক্ষণগুলোকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। নতুন ৪৬-এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করার সময় গ্রেপ্তারকারীর নেমপ্লেট থাকতে হবে, নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে এবং পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। যেক্ষেত্রে আসামিকে তার বাড়ির বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তারের পর অবিলম্বে (যা কোনোভাবেই ১২ ঘণ্টার বেশি হবে না) আসামির পরিবার বা নিকটজনকে জানাতে হবে। গ্রেপ্তারের সময় আসামির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে বা আসামি অসুস্থ হলে অবশ্যই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং আঘাত বা অসুস্থতা সম্পর্কে চিকিৎসকের প্রত্যয়ন গ্রহণ করতে হবে। আসামি যদি আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে তাকে সেই সুযোগ দিতে হবে।
এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সুরক্ষায় এবারের সংশোধনীতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিধান হলো ‘মেমোরেন্ডাম অব অ্যারেস্ট’ এর প্রবর্তন। আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই বিধান এবং এ সম্পর্কিত একটি ফর্ম যুক্ত করা হয়েছে। যে কোনো গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রেই পুলিশকে এখন থেকে ‘মেমোরেন্ডাম অব অ্যারেস্ট’ প্রস্তুত করতে হবে। এই ফর্মে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির আইনি সুরক্ষাগুলোর একটি চেকলিস্ট রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে উপস্থাপনের সময় এই ফর্মটিও দাখিল করতে হবে। রক্ষাকবচ সম্পর্কিত বিধানগুলো কতটা প্রতিপালিত হয়েছে, এই ফর্ম দেখে ম্যাজিস্ট্রেট সেটি তদারকি করতে পারবেন।
‘গ্রেপ্তারের তথ্য সরবরাহে বিশেষ বিধান’
গ্রেপ্তারকৃতের তথ্য পেতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির পরিবারকে ভয়ানক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নতুন বিধান যুক্ত করে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৪এ ধারায় বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে। আবার ৪৬বি এবং ৪৬সি ধারায় বলা হয়েছে, প্রতিটি গ্রেপ্তারের তথ্য গ্রেপ্তারকারীর অফিসের রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি যে থানা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই থানার সাধারণ ডায়েরিতেও এন্ট্রি করতে হবে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির পক্ষে কেউ থানায় যোগাযোগ করলে তাকে গ্রেপ্তার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতি থানা, জেলা ও মহানগর পুলিশ অফিসে প্রতিদিন গ্রেপ্তারের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
‘গ্রেপ্তারকৃতের টাকা-পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রীর তালিকা’
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির কাছে অনেক সময় টাকা-পয়সা, অলংকার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি মূল্যবান সামগ্রী থাকে। এসব দ্রব্য যদি অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়, সেক্ষেত্রে মামলার জব্দ তালিকায় সেগুলো উল্লেখ করা হয়; কিন্তু অনেক সময় এসব মূল্যবান বস্তুর সঙ্গে অপরাধের সংযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে এসব সামগ্রী নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ-সংক্রান্ত ৫১ ধারার সংশোধন করে এখন থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির কাছে এমন মূল্যবান সামগ্রী পাওয়া গেলে তার জন্য পৃথক তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং সম্ভব হলে সেই তালিকায় একজন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে। ওই তালিকার একটি কপি গ্রেপ্তারকৃতের নিকটজনকে দিতে হবে।
‘৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারে সতর্কতা’
বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত ৫৪ ধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে পুলিশের গ্রেপ্তারের এই ক্ষমতা আরও সুনির্দিষ্ট ও জবাবদিহিমূলক করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধে কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে হলে পুলিশকে দেখাতে হবে, পুলিশের সামনে ওই ব্যক্তি অপরাধটি ঘটিয়েছেন। অন্যদিকে, আমলযোগ্য অপরাধ-সংক্রান্ত কোনো এজাহার বা নালিশি মামলা পুলিশের কাছে তদন্তাধীন থাকলে এবং পুলিশ ওই মামলা-সংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে চাইলে পুলিশকে দেখাতে হবে, অপরাধটি ওই ব্যক্তি করেছেন মর্মে পুলিশের সন্দেহ করার যুক্তিসংগত কারণ আছে। যেখানে আমলযোগ্য অপরাধটির সাজা সাত বছর বা তার কম, সেক্ষেত্রে পুলিশকে আরও দেখাতে হবে যে, আসামি অধিকতর অপরাধ জড়ানো থেকে প্রতিহত করতে, তার পালিয়ে যাওয়ার ঠেকাতে বা সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট করা থেকে তাকে বিরত রাখতে এই গ্রেপ্তার জরুরি। এ ছাড়া আমলযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আসামিকে গ্রেপ্তার করা কিংবা না করা উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশকে এর কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে। একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তিকে নিবারণমূলক (কোনো কিছু ঘটা থেকে প্রতিরোধমূলক) আটক করার প্রয়োজনে ৫৪ ধারার বিধান প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘গ্রেপ্তার সম্পর্কিত বিধানের প্রতিপালনে আদালতের দায়িত্ব’
৬৭-এ ধারায় বলা হয়েছে, যে ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামি হাজির করা হবে, তার দায়িত্ব হবে গ্রেপ্তার সম্পর্কিত বিধানাবলি প্রতিপালন হয়েছে কি না দেখা। কোনো ব্যত্যয় পাওয়া গেলে আদালত অবহেলাকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিতে পারবে।
‘পুলিশ রিমান্ড ও শ্যোন অ্যারেস্ট’
একজন আসামিকে কতদিন পর্যন্ত পুলিশ রিমান্ডে রাখা যায়, সে ব্যাপারে ফৌজদারি কার্যবিধির বিদ্যমান বিধান অস্পষ্ট। এবার ১৬৭ ধারায় সংশোধন করে বলা হয়েছে, এক মামলায় কোনোভাবেই ১৫ দিনের বেশি পুলিশি রিমান্ড নয়। একই সঙ্গে রিমান্ডে পাঠানোর আগে-পরেও আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। রিমান্ডে নির্যাতন করলে এবং আসামির শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলে ম্যাজিস্ট্রেট আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ সম্পর্কিত ১৬৭-এ ধারায় যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এক মামলার আসামিকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে চাইলে পুলিশকে আদালতে আসামি ও পুলিশ ডায়েরি উপস্থাপন করতে হবে এবং আসামিকে শুনানির সুযোগ দিতে হবে।
‘তদন্তের সময়সীমা’
ফৌজদারি কার্যবিধিতে প্রথমবারের মতো তদন্তের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৭৩-বি ধারায় বলা হয়েছে, এখন থেকে যে কোনো মামলার তদন্ত সাধারণভাবে ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়সীমার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সম্ভব না হলে বিস্তারিত কারণ এবং প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করে তদন্তকারী প্রতিবেদন প্রেরণ করবেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের সময়সীমা বর্ধিত করতে পারবেন। বর্ধিত সময়ের মধ্যেও তদন্ত সম্পন্ন না হলে তদন্তকারী পুনরায় তার কারণ ব্যাখ্যা করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন পেশ করবেন। তদন্তকারীর গাফিলতি প্রতীয়মান হলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজন মনে করলে তদন্তকারী পরিবর্তন বা তদন্তকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করতে পারবেন।
‘সংক্ষিপ্ত বিচারে বিশেষ বিধান’
সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের আর্থিক এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। আগে চুরি, আত্মসাৎ প্রভৃতি মামলার বিষয়বস্তুর মূল্যমান অনূর্ধ্ব ১০ হাজার টাকা হলে তার বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে করা সম্ভব ছিল। বর্তমানে এই মূল্যমান বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত বিচার-সংক্রান্ত বিশেষ বিধান ২৬৪এ যুক্ত করে বলা হয়েছে, সম্ভব হলে একই বৈঠকে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে এবং যে কোনো স্থানে সংক্ষিপ্ত বিচার আদালত পরিচালনা করা যাবে।
‘আপসযোগ্য মামলা’
বেআইনি সমাবেশ সম্পর্কিত দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারা এতদিন আপস অযোগ্য ছিল। এবার এই অপরাধকে আপসযোগ্য করা হয়েছে। এতদিন অনেক মামলা আপসে নিষ্পত্তি করার পথে এই ধারাটির বাধা ছিল। আপসের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সংশোধনী হলো—এখন থেকে আদালত নিজে আপস কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে পারবে এবং পাশাপাশি জেলা লিগ্যাল এইড অফিস আপসের জন্য মামলা প্রেরণ করতে পারবে।
‘জামিনে শর্তযুক্ত’
আসামির জামিন-সংক্রান্ত ৪৯৮ ধারার সংশোধনীতে বলা হয়েছে, জামিন প্রদানের সময় আদালত যুক্তিসংগত ও ন্যায্য যে কোনো শর্ত আরোপ করতে পারবে। ফলে মামলা চলাকালে আসামিদের ডোপটেস্ট বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণের শর্ত আরোপ করতে পারবে আদালত।
‘ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি’
ফৌজদারি মামলায় ভোগান্তির জন্য আসামি চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। মামলা হওয়ার পর থেকেই এই হয়রানি শুরু হয় মূলত তারিখে তারিখে আদালতে হাজিরা দেওয়ার মাধ্যমে। এবারের সংশোধনীতে তদন্ত চলাকালে আসামির হাজিরা শিথিল করার চেষ্টা করা হয়েছে। ৫৪০এ ধারায় বলা হয়েছে, আদালত চাইলে তদন্ত রিপোর্ট শুনানি পর্যন্ত জামিনপ্রাপ্ত আসামিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে। এ সময় আসামি তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিতে পারবেন। নতুন আইনে স্পষ্ট বিধান যুক্ত হওয়ায় সারা দেশের লাখ লাখ জামিনপ্রাপ্ত আসামি ব্যক্তিগত হাজিরার ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।
‘সাক্ষীর খরচ ও সুরক্ষা’
আদালতে আসা সাক্ষীদের অনেকেই দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। সাক্ষ্যদানের পর তারা যাতায়াত ও খোরাকি ভাতা প্রত্যাশা করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪৪ ধারায় সাক্ষীর খরচ প্রদানের জন্য বিধান থাকলেও সেটি কার্যকর করার জন্য পৃথক বিধি প্রণয়ন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। বিষয়টি সহজ করার উদ্দেশ্যে এবার ‘বিধি’-এর পরিবর্তে ‘সরকারি আদেশ’ দ্বারা প্রয়োজনীয় বিধান করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষী সুরক্ষায় বিভিন্ন বিশেষ আইনে বিধান থাকলেও ফৌজদারি কার্যবিধিতে কোনো বিধান ছিল না। এবারের সংশোধনীতে সাক্ষী ও ভিকটিমদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় যে কোনো আদেশ প্রদানের ক্ষমতা আদালতকে দেওয়া হয়েছে।
‘মিথ্যা মামলার সাজা বৃদ্ধি’
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কোনো মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে মামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আগে ঐচ্ছিক ছিল। বর্তমানে এ-সংক্রান্ত ২৫০ ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে মিথ্যা মামলার সর্বোচ্চ অর্থদণ্ড ৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন