

জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া বিষয়ে এখন পর্যন্ত ২৩টি রাজনৈতিক দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তাদের লিখিত মতামত জমা দিয়েছে। এসব দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণফোরাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও বাংলাদেশ জাসদসহ বড় ও ছোট নানা দল রয়েছে। তা ছাড়া ৭টি দল এখনো তাদের মতামত জমা দেয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলগুলোর আপত্তি এবং অভিযোগ মূলত জুলাই সনদের সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়ায় ৮ দফা অঙ্গীকারনামা নিয়ে। লিখিত মতামত দিয়ে দলগুলো সনদ নিয়ে কমিশনের কিছু ত্রুটি চিহ্নিত করেছে এবং বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবে যেসব দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেসব দলের নাম সনদে উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছে। অবশ্য অধিকাংশ দল চায় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং এর আলোকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন। এদিকে জুলাই সনদ নিয়ে অধিকাংশ দলের লিখিত মতামত পাওয়ার পর আজ রোববার আবারও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে ঐকমত্য কমিশন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। তবে দলগুলোর সঙ্গে কবে নাগাদ বৈঠক হবে, তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জুলাই সনদ আগস্টের মধ্যে হচ্ছে না।
গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের ৮৪টি প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ নামে দলিল তৈরির কাজ চলছে। গত ২৯ জুলাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সনদের প্রথম খসড়া দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা ‘সমন্বিত চূড়ান্ত খসড়া’ গত ১৬ আগস্ট আবারও দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে দলগুলো। এ বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও আরও কিছু দল আপত্তি জানায়। তারা সনদকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণের দাবি তোলে। পরে সংশোধিত খসড়ায় অঙ্গীকারের ভাষায় পরিবর্তন আনা হয়। অন্যদিকে, সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরে কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনায় বসবে।
জানা গেছে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য ২০ আগস্ট সময় নির্ধারণ করা হলেও সেদিন মাত্র পাঁচটি রাজনৈতিক দল লিখিত মতামত জমা দেয়। পরে দলগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুদিন সময় বাড়িয়ে গত শুক্রবার পর্যন্ত নির্ধারণ করে ঐকমত্য কমিশন। এ দুই দফায় ২৩টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। মতামত জমা দেয়নি ৭টি দল।
অঙ্গীকারনামা নিয়েই মূল আপত্তি-অভিযোগ: সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলো জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে প্রায় কাছাকাছি মতামত দিয়েছে। বিশেষ করে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা, কিছু ভাষা ও বাক্যগত অসংগতি এবং অঙ্গীকারনামার ২, ৩ ও ৪ নম্বর দফা নিয়ে আপত্তি আছে বিএনপির। দলটি মনে করে, সূচনায় অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু বিষয় আলোচনা না হলেও তা জুলাই সনদে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু বিষয়ে সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। তা ছাড়া নানা ইস্যুতে বিভিন্ন দল নোট অব ডিসেন্ট দিলেও সনদের খসড়ায় শুধু বিএনপির নাম উল্লেখ থাকায় দলটি মতামত দিয়েছে, নোট অব ডিসেন্ট দেওয়া সব দলের নাম সনদে উল্লেখ করতে হবে। তা ছাড়া সনদের মর্যাদা কোনোভাবেই সংবিধানের ওপরে হতে পারে না এবং সনদ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না—বিএনপি এই অঙ্গীকারনামারও বিপক্ষে। এসব বিষয়ে পর্যালোচনা শেষে দলীয় মতামত দিয়েছে বিএনপি।
জামায়াতে ইসলামীও অঙ্গীকারনামা নিয়ে কিছু আপত্তি তুলেছে। বিশেষ করে জুলাই সনদ কীভাবে কার্যকর ও বাস্তবায়ন হবে, তার উল্লেখ না থাকায় কমিশনকে মতামতের মাধ্যমে জানিয়েছে দলটি। এ বিষয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা করে বিভিন্ন বিষয়ে অসংগতি চিহ্নিত করেছি। সেগুলো পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত মতামত দিয়েছি। কিছু বিষয়ে কমিশনের কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যার কথা বলেছি।’
জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় এনসিপির মূল আপত্তি অঙ্গীকারনামা নিয়ে। এ ছাড়া সংসদের নারী আসন মনোনয়ন নিয়েও মত দিয়েছে দলটি। সনদের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম ১৫ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে—এই দাবিতে এনপিসি নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। এ ছাড়া অঙ্গীকারনামার ভূমিকা নিয়ে দলটি বলেছে, দুটি ঐতিহাসিক ঘটনাকে সামনে এনে সাংবিধানিক কনভেনশনের নামে পরবর্তী সংসদের কাছে জুলাই সনদ ২০২৫-এর বাস্তবায়নকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের দাবি তথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা ও এর আইনি ভিত্তি প্রদান করার কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেখা যাচ্ছে না। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান না থাকা নিয়ে কমিশনের বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। একইভাবে এই অন্তর্বর্তী সরকার ও তার কার্যক্রম তথা বৈধতার ভার পরের সংসদের কাছে ন্যস্ত করার বিবৃতি আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা মনে করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও তার কার্যক্রম তথা জুলাই সনদের বৈধতা গণঅভ্যুত্থান ও অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণাপত্র। তা ছাড়া অঙ্গীকারনামার ২ নম্বর দফা নিয়ে এনসিপি বলেছে, কোন পদ্ধতিতে এই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি। গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সনদের সব বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি ৮ নম্বর দফার মতামতে এনসিপি বলেছে, কোন কোন প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে, সেটা সুস্পষ্ট নয়। আমরা চাই জুলাই সনদের সম্পূর্ণটাই কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ সমন্বিত খসড়ায় (সংশোধিত) আমাদের মতামতের বেশকিছু প্রতিফলন ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রারম্ভিক বক্তব্য এবং ১-৪ নম্বর অনুচ্ছেদে আমাদের মতামতগুলো অনেকাংশে প্রতিফলিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এবি পার্টি এক কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে হলেও জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা অবস্থান পরিবর্তন করে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ব্যবস্থা প্রবর্তনের পক্ষে একমত পোষণ করেছিলাম এই শর্তে যে, নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের ১০০ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। যদি উচ্চকক্ষে এই পদ্ধতির প্রচলন না হয়, তাহলে আমরা বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে (নিম্নকক্ষে) অধিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে ১০০টি আসনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা পিআর চালুর প্রস্তাব করছি, যা একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র গড়ে তোলার সূচনা তৈরি করবে বলে মনে করি।’
মঞ্জু বলেন, (ঘ) অনুচ্ছেদ ৩০ প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: অনুচ্ছেদ ৩০(৩)-এর বিষয়ে আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছিলাম যে, এটি আইনের দর্শনের পরিপন্থি। কারণ, অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্দোষ বলে বিবেচনা করাই আইনসম্মত। এ বিষয়টি নিয়ে পরে আলোচনা করার কথা থাকলেও তা আর আলোচ্য সূচিতে আসেনি। সেজন্য অনুচ্ছেদ ৩০(৩)-এর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ রাখছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য এবং যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য নয়, তার একটি সুস্পষ্ট তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। অন্যথায়, এই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ, সংশয় ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। অধিকন্তু, আমরা দাবি করছি যে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত হবে।’
মঞ্জু বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লিখিত সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কারের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের নিমিত্তে গণভোটের আয়োজন করা যায় কি না, সে বিষয়ে সরকার বিদ্যমান সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৬-এর অধিক্ষেত্র অনুযায়ী পরামর্শ চাইতে পারে। বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে আপিল বিভাগ যদি এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির আলোকে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ম্যান্ডেট (এখতিয়ার) নির্ধারণ প্রশ্নে এই প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের অভিপ্রায় সুস্পষ্টকরণের জন্য একটি গণভোট আয়োজন জরুরি, তবে গণভোট আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না।
এদিকে, জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া পর্যালোচনা শেষে সনদের সংশোধনীসহ ২৮ বিষয়ে মতামত দিয়েছে ১২ দলীয় জোট। জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা গতকাল কালবেলাকে বলেন, জুলাই সনদের বেশকিছু বিষয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
জুলাই সনদ নিয়ে ১২ দলীয় জোটের কিছু সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—ভাষা ও বাক্য গঠনে সুস্পষ্টতার অভাব ও বিভিন্ন অপ্রচলিত শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের ‘বিলম্বনস্থা’ ও ‘বিরাম মঞ্জর’ কথাটি বোধগম্য নয়। চূড়ান্ত খসড়ায় ১০ নম্বর দফায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতির বিষয়ে সংস্কার কমিশন কর্তৃক বর্ণিত যোগ্যতা সম্পর্কে ‘রাষ্ট্রপতি পদপার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয় সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে থাকতে পারবেন না’ বলে উল্লিখিত বিধান যথেষ্ট নয়। এখানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আগ্রহী প্রার্থী নির্বাচনের আগে দল বা অন্যান্য পদ থেকে পদতাগ করতে হবে।
এ ছাড়া ১২ দলীয় জোট রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ায় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনের পরিবর্তে সিম্পল মেজরিটিতে অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পক্ষে। ১৫ নম্বর দফায় প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদে থাকার বিষয়টি অধিকতর ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। ১৯ নম্বর প্যারাটিতেও সঠিক বাক্য গঠন হয়নি। আইনসভা সংক্রান্ত ২১ নম্বর দফায় (খ) ও (ঘ) উপ-দফা এবং ২৮ নম্বর দফায় ‘জাতীয় সংসদে দলের বিরুদ্ধে ভোটদান’ সংক্রান্ত বিধানে ১২ দলীয় জোটের নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। ৪৩ নম্বর দফায়ও ১২ দলীয় জোট দ্বিমত প্রকাশ করেছে। ৫৩ নম্বর দফা তথা ‘নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ’-এর কোনো প্রয়োজন নেই বলে উল্লেখ করেছে জোট। ৫৫, ৫৬, ৫৯, ৫৮, ৭২ ও ৮২ নম্বর দফায়ও নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে তারা। ৩টি পৃথক সরকারি কর্ম কমিশন গঠনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে জোট বলেছে, কোনো রাজনৈতিক দলকে তথ্য অধিকার আইনের আওতাভুক্ত করার পক্ষে না তারা। এ ছাড়া কোনোভাবেই জুলাই সনদের স্থান সংবিধানের ওপরে হতে পারে না বলেও মতামত দিয়েছে ১২ দলীয় জোট।
মন্তব্য করুন